‘ভাইয়া ইজ ব্যাক’, ধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রনেতার জন্য পোস্টার, জামিন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ। অভিযুক্ত মধ্যপ্রদেশের ছাত্রনেতা জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরই তার সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ভাইয়া ইজ ব্যাক’ বলে অভিনন্দন জানিয়ে স্বাগত জানানোর পর ফের বিপাকে পড়ে অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রনেতার জামিন খারিজ করে দেয়।

জামিন খারিজ অভিযুক্তের
মুখ্য বিচারপতি এনভি রমন ও বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারি এবং হিমা কোহলির বেঞ্চ মধ্যপ্রদেশ হাইকোটের রায়কে বাতিল করে দিয়েছে, যা অভিযুক্ত শুভাং গোন্টিয়ার পূর্ব অপরাধের ইতিহাস ও এফআইআরে বিলম্ব করার বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়ে অভিযুক্তকে স্বস্তি দেওয়া হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বিচারপতি কোহলি, যিনি এই রায় দেন, বলেন, 'যে অপরাধের শাস্তি ১০ বছর বা যাবজ্জীবন হতে পারে সেই অপরাধে মাত্র দু'মাস সাজা কাটিয়ে আসার পর অভিযুক্ত ও তার সমর্থকদের জন্য উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে।'

হোর্ডিং–পোস্টারে লেখা ভাইয়া ইজ ব্যাক
বেঞ্চ আরও উল্লেখ করেছে যে এই নির্লজ্জ আচরণ অভিযোগকারীর মনে ভয় জাগিয়েছিল যে তিনি যদি গোন্টিয়ার প্রভাব থাকে তবে তিনি একটি অবাধ ও ন্যায্য বিচার পাবেন কিনা এবং এই মামলায় বস্তুগত সাক্ষীদের প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। গোন্টিয়ার জামিনের পর সমর্থকদের আচরণের কথা উল্লেখ করে হাইকোর্টে প্রশ্ন করেছিলেন আক্রান্ত। প্রসঙ্গত, গোন্টিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ফিরে আসে এবং তার ছবি সমাজের কিছু প্রভাবশালী লোকেদের সঙ্গে দিয়ে পোস্টার ও হোর্ডিং দেওয়া হয়, যেখানে লেখা রয়েছে 'ভাইয়া ইজ ব্যাক', 'ব্যাক টু ভাইয়া এবং 'ওয়েলকাম টু রোল জানেমন' ক্যাপশন দিয়ে গোন্টিয়াকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

হাইকোর্টের রায় খারিজ
যদিও গোন্টিয়া দাবি করেছেন যে সে একজন ছাত্রনেতা এবং এই পোস্টারগুলির সঙ্গে এই মামলার কোনও যোগসূত্র নেই। অভিযুক্তের এহেনও দাবির জবাবে বেঞ্চ বলে, 'ক্রাউন ও হৃদয়ের ইমোজিগুলি দেখে অন্তত সেই বিষয়টি মনে হচ্ছে না।' বেঞ্চের মতে, সোশ্যাল মিডিয়াতে তার ছবির ক্যাপশনগুলি তার উচ্চতর অবস্থান এবং সমাজে তার এবং তার পরিবারের দ্বারা পরিচালিত শক্তি এবং অভিযোগকারীর উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে। প্রতিকূল পরিস্থিতির তত্ত্বাবধানে বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে এবং অভিযুক্তকে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস
২০২১ সালের ২১ জুন অভিযোগকারীর দায়ের করা এফআইআর অনুযায়ী, গোন্টিয়া অভিযোগকারিনীকে মিথ্যা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে। এফআইআরে এও বলা হয়েছে যে ২০১৯ সালের জুলাইতে গোন্টিয়া তাঁকে সিঁদুর পরানোর পর এটা বিশ্বাস করান যে তারা বিবাহিত। ২০২০ সালের জুলাইতে যখন অভিযোগকারিনী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন সেই সময় গোন্টিয়া ও তার বোন তাঁকে বাচ্চা নষ্ট করার জন্য ওষুধ দেয়। পরবর্তীকালে, গোন্টিয়া তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে এবং মুখোমুখি হওয়ার পরে, বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
'আজানের জন্যে লাউড স্পিকারের ব্যবহার মৌলিক অধিকার নয়', জানিয়ে দিল হাইকোর্ট