বিচারপতিদের বিদ্রোহের সঙ্গে বিচারপতি লোয়ার মৃত্যু ও বিতর্কিত সোহরাবুদ্দিন মামলার কী যোগ জানেন
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিদের বেছে বেছে মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুখ্য বিচারপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন চারজন। সেই প্রসঙ্গেই সিবিআই আদালতের বিচারপতি বিএইচ লোয়ার মৃত্যু প্রসঙ্গ সামনে এসেছে।
সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতি কার্যত বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে। গণতন্ত্র বিপন্ন, এভাবে চললে ভেঙে পড়বে বিচারব্যবস্থা, এমনটাই মনে করছেন চার বিচারপতি ক্যুরিয়েন জোসেফ, জে চেলারামেশ্বর, রঞ্জন গগৈ ও মদন লোকুর। এই বিদ্রোহের পিছন পিছন উঠে আসছে এক বিচারপতির মৃত্যুর ঘটনা এবং বিতর্কিত সোহরাবুদ্দিন মামলা। যা নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন:সাংবাদিক বৈঠক করে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিদ্রোহে চার বিচারপতি]
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিদের বেছে বেছে মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুখ্য বিচারপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সহ বাকী তিনজন। সেই প্রসঙ্গেই সিবিআই আদালতের বিচারপতি বিএইচ লোয়ার মৃত্যু প্রসঙ্গে সামনে এসেছে।
এদিন বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে লোয়ার মৃত্যুর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। ২০১৪ সালে অদ্ভূতভাবে মৃত্যু হয় বিচারপতি লোয়ার।
এই ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন মহারাষ্ট্রের এক সাংবাদিক। এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন তিনি। বম্বে হাইকোর্টেও আইনজীবীর অ্যাসোসিয়েশন একই মামলা দায়ের করেন। সকলেই লোয়ার মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চেয়েছেন।
ঘটনা হল, বিচারপতি লোয়া ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর প্রয়াত হন। সেখানে গুজরাতে সোহরাবুদ্দিন শেখের মৃত্যুর মামলা তিনি বিচার করছিলেন। তাতে নাম ছিল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের। একটি নকল এনকাউন্টারে সোহরাবুদ্দিনকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল।
নাগপুরে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে লোয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ও হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। তারপরই এই মামলা বিচারপতি এমবি গোসাভির হাতে চলে যায়। এবং ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অমিত শাহের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খারিজ হয়।
২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে লোয়া পরিবারের তরফে ক্য়ারাভ্যান ম্যাগাজিনে এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করা হয়, লোয়ার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। গোটা ঘটনা যেভাবে হয়েছে তাতে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। যে সময়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, দেহ ফেরত দেওয়ার সময় যা অবস্থা ছিল, যেভাবে গোটা ঘটনা চলেছে তাতে রহস্য রয়েছে।
রহস্য আরও দানা বেঁধেছে কারণ বিএইচ লোয়ার বোন অনুরাধা বিয়ানি অভিযোগ করেছেন, বিচারক লোয়াকে ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেটা বলেছিলেন তৎকালীন বম্বে হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি মোহিত শাহ। অভিযুক্ত অমিত শাহের পক্ষে রায় দিতে বলা হয়েছিল। এই গোটা ঘটনা নিয়েই ফের বিতর্ক উসকে উঠেছে।
[আরও পড়ুন:বিচারপতিদের বিদ্রোহী সাংবাদিক বৈঠকের পরই তড়িঘড়ি মোদী বসলেন বৈঠকে]