SC On Marital Rape: স্ত্রীয়ের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌনতা কি অপরাধ? যা বলল সুপ্রিম কোর্ট
বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital Rape) বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একটা আলোচ্য বিষয়! আর তা অপরাধের চোখে দেখার দাবি সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার দায়ের হয়। আর সেই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিঙ্ঘা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়।
আর সেই মামলার শুনানিতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর তা দিতে হবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আগামী ২১ মার্চ ফের এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বিশেষ এই বেঞ্চ। ফলে সেদিন আদালত এই বিষয়ে রায় দেয় সেদিকেই নজর গোটা দেশের।
দিল্লি হাইকোর্টের এক আইনজীবী খুশবু সাইফি সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করে। দিল্লি হাইকোর্ট গত বছর ১১ মে এই বিষয়ে কার্যত বিভক্ত একটি নির্দেশ দেয়। ডিভিশন বেঞ্চের রায় একাধিক মতানৈক্য থাকে। এই অবস্থায় বিচারপতি রাজীব শাকধের এবং বিচারপতি সি হরি শঙ্কর এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার অনুমতি দেন। যেখানে তাৎপর্যপূর্ণ বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়। এমনকি কয়েকটি ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের উপরও ছাড়া হয়।
যদিও শুধুমাত্র দিল্লি হাইকোর্টেই নয়, এই বিষয়ে কর্নাটক হাইকোর্টেও একটি আবেদন জমা পড়ে। যে মামলাতে স্ত্রীয়ের দায়ের করা (Marital Rape) অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী কড়া শাস্তি দেয়।
বলে রাখা প্রয়োজন, কর্নাটক হাইকোর্ট গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ২২ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করে। আদালত জানায়, নিজের স্ত্রীয়ের সঙ্গেই ধর্ষণ ও অপ্রাকৃতিক যৌনতার অভিযোগ থেকে স্বামীকে অব্যাহতি দেওয়া মানে সংবিধানের 14 অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। কার্যত Marital Rape-এর ক্ষেত্রে কর্নাটক হাইকোর্টের এই রায় গোটা দেশের কাছে কার্যত নজিরবিহীন।
উল্লেখ্য, এই বিষয়েই সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিছু আবেদনকারী ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 375 (ধর্ষণ) এর অধীনে বৈবাহিক ধর্ষণ থেকে অব্যাহতির সাংবিধানিকতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। যদিও এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে দায়ের হওয়া মামলাটির গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যায় সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।
অন্যদিকে স্বামী এবং স্ত্রীয়ের সঙ্গে জোরপূর্বক সহবাসকে ধর্ষণ বলা হবে? ধর্ষণের অপরাধ হিসেবে তা গণ্য করা হবে কি না? সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলাও হয়। এই বিষয়ে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আদালতের দ্বারস্থ হয়। এমনকি সেখানে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়। যদিও এই বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্ট চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। আর সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।