করোনা মৃত্যুতে আত্মীয়দের এককালীন অর্থপ্রদান, সর্বোচ্চ আদালতে প্রশ্নে নাস্তানাবুদ কেন্দ্র
দেশে করোনায় (coronavirus) মৃতদের নিকট আত্মীয়দের এককালীন অর্থ (exgratia) সাহায্য না দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র (central govt) কি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, এদিন এমনটাই প্রশ্ন করল সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (supreme c
দেশে করোনায় (coronavirus) মৃতদের নিকট আত্মীয়দের এককালীন অর্থ (exgratia) সাহায্য না দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র (central govt) কি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, এদিন এমনটাই প্রশ্ন করল সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) বিচারপতি অশোক ভূষণ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে প্রশ্ন করেন, কেন্দ্র কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে না কি এটা সিদ্ধান্ত না নেওয়ার ঘটনা।
সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এক কালীন অর্থের প্রয়োজন নেই, এমন সিদ্ধান্ত কি কেন্দ্র নিয়েছে, প্রশ্ন করেন বেঞ্চের অপর বিচারপতি এমআর শাহ। করোনা এককালীন বিপর্যয় নয়, এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে কি কেন্দ্রীয় সরকার এই বলতে চাইছে এক্ষেত্রে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন কার্যকর হবে না, এমন প্রশ্নও করেন বিচারপতি।
কেন্দ্রের অবস্থান
সর্বোচ্চ আদালতের প্রশ্নে কেন্দ্র জানিয়েছে, তাদের হাতে অর্থ রয়েছে। কিন্তু সেই অর্থ করোনায় মৃতদের পরিবারের হাতে এককালীন ৪ লক্ষ টাকা করে দেওয়া থেকে খাদ্য, চিকিৎসা, অক্সিজেন, ভ্যাকসিন এবং অর্থনীতির উন্নতিতে খরচ করতে চায়। করোনা এককালীন বিপর্যয় নয় বলেও জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল।
আবেদনকারীর আইনজীবীর যুক্তি
আবেদনকারীদের আইনজীবী এসবি উপাধ্যায় বলেছেন, যদি সরকারের হাতে অর্থ থাকে তাহলে, কেন বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী এককালীন অর্থপ্রদান করা হচ্ছে না করোনায় আক্রান্তদের মৃতের পরিবারকে। কেননা কেন্দ্রীয় সরকার করোনাকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে। আবেদনকারীদের তরফে ২০১৫ সালের একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে সরকার বিপর্যয় মোকাবিলার ১২ নম্বর ধারা অনুসারে মৃতদের পরিবার একাকালীন ৪ লক্ষ টাকা করে দেবে বলে জানানো হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে সরকার আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা বলতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন আবেদনকারীদের আইনজীবী।
অর্থ কমিশনের রিপোর্টের উল্লেখ
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১৫ তম অর্থ কমিশন (২০২১-২০২৬) বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করে দিয়েছে। সেই সময় বিচারপতি শাহ প্রশ্ন করেন, অর্থ কমিশন যদি বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ১৫ হাজার কোটির বরাদ্দ করেন আর করোনা আসে, তাহলে যদি ২৫ হাজার কোটির প্রয়োজন হয়, তাহলে কি সরকার বলবে তারা ১৫ হাজার কোটিই খরচ করবে। সেই সময় সলিসিটর জেনারেল উত্তর দেন, তাহলে সংসদে যেতে হবে।