আলোচনা চালিয়ে যেতে কি কৃষি আইন প্রত্যাহার? কেন্দ্রকে সুপ্রিমকোর্টের প্রশ্ন ঘিরে জল্পনা
কৃষক আন্দোলনের আজ ২২তম দিন। এখনও দিল্লির সীমানার রাস্তা অবরোধ করে বসে রয়েছেন কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের সরানোর দাবিতে আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এবার কেন্দ্রকে সরাসরি প্রশ্ন করল সুপ্রিমকোর্ট, আলোচনা জারি রাখার লক্ষ্যে কি কৃষি আইন প্রত্যাহারর করবে কেন্দ্র?
যতদিন ইচ্ছে ততদিন তারা আন্দোলন করতে পারেন
এদিন সুপ্রিমকোর্টের তরফে বলা হয়, যতক্ষণ না কৃষকরা কারোর সমস্যা তৈরি করছেন, ততক্ষণ যতদিন ইচ্ছে ততদিন তারা আন্দোলন করতে পারেন। তবে রাস্তা এভাবে অবরোধ করে থাকা যায় না। তবে এ বলেও সুপ্রিমকোর্ট কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে, আপনারা আলোচনা জারি রেখে পরিস্থিতি শান্ত করার লক্ষ্যে কী করবেন? আপনারা কি কৃষি আইন প্রত্যাহার করবেন আলোচনার লক্ষ্যে?
কৃষক আন্দোলন সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে শুনানি
এদিকে কৃষক আন্দোলন সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, 'এই ভাবে চললে আপনাদের আলোচনা ফের ব্যর্থ হবে। ওঁরা রাজি হবেন না। তাই আমাদের এমন একটি প্রতিষ্ঠানের নাম বলুন, যে সামনে আসতে পারে। না হলে এটা শীঘ্রই জাতীয় সমস্যা হয়ে উঠবে।'
কৃষক মৃত্যু
এদিকে এই মামলার মাঝেই আজ সকালে আন্দোলনরত আরও এক কৃষকের মৃত্যু হল। হাড়হিম করা ঠান্ডায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। বছর ৩৭-এর ওই কৃষকের ১০, ১২ ও ১৪ বছরের তিন সন্তান রয়েছে। এদিকে গতকালই এই ইশুতে সরকারের বিরুদ্ধে অবিচারের অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করেছেন শিখ ধর্মের এক নেতা। তিনি হরিয়ানার একটি গুরুদোয়ারার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যু হল আরও এক কৃষকের।
তীব্র ঠান্ডার মাঝেও আন্দোলন
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের আন্দেলন অব্যাহত। দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় তাঁরা অবস্থান করছেন। তীব্র ঠান্ডার মধ্যেও তাঁরা নিজেদের দাবিতে অনড়। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে আন্দোলন চলাকালীন এর আগে বেশ কয়েকজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নভেম্বরের শেষ থেকে এপর্যন্ত আন্দোলন চলাকালীন ২০ জনের বেশি আন্দোলনকারী কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি কৃষক সংগঠনগুলির। এঁদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে কনকনে ঠান্ডায়।