প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর নিয়ে সমাবেশ! সুপ্রিম কোর্টের পদক্ষেপে 'ধাক্কা' কেন্দ্রের
প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর নিয়ে সমাবেশ! সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে 'বিপাকে' কেন্দ্র
প্রজাতন্ত্র দিবসে (republic day) কৃষকদের ট্র্যাক্টর নিয়ে সমাবেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে (supreme court) আবেদন করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে কৃষকদের এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে তারা কোনও আদেশ দেবে না। যা নিয়ে বিপাকে পড়ে কেন্দ্র (central govt) অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনটি তুলে নিয়েছে।
ট্র্যাক্টর র্যালির বিরুদ্ধে কেন্দ্রের আবেদন
প্রজাতন্ত্র
দিবসে
কেন্দ্রের
কৃষি
আইনের
বিরুদ্ধে
ট্র্যাক্টর
র্যালির
আয়োজন
করেছেন
কৃষকরা।
কিন্তু
কেন্দ্র
মনে
করতে
প্রজাতন্ত্র
দিবসে
কৃষকদের
এই
মিছিল
আন্তর্জাতিক
মহলে
দেশের
ভাবমূর্তি
ক্ষতি
করবে।
তাই
কেন্দ্রের
তরফে
এর
বিরুদ্ধে
সুপ্রিম
কোর্টে
আবেদন
জানানো
হয়েছিল।
যদিও
কৃষকরা
জানিয়েছিলেন
তাঁদের
র্যালি
প্রজাতন্ত্র
দিবসের
মূল
অনুষ্ঠানে
কোনওরকম
বাধা
তৈরি
করবে
না।
কেন্দ্রের
পক্ষে
আদালতে
দাঁড়িয়ে
অ্যাটর্নি
জেনারেল
বুধবার
বলেন,
৫
হাজার
ট্র্যাকটর
নিয়ে
দিল্লিতে
ঢোকার
কৃষকদের
সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে
স্থগিতাদেশ
দেওয়া
হোক।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশে আবেদন তুলল কেন্দ্র
এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রকে বলে, কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালির বিরুদ্ধে করা তাদের আবেদন যেন তুলে নেওয়া হয়। কেননা ট্র্যাক্টর র্যালির বিরুদ্ধে তাঁরা কোনও আদেশ দিতে পারবে না। তবে দিল্লি পুলিশ এব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। তবে এব্যাপারে ২৫ জানুয়ারি আবার শুনানি হতে পারে। বিক্ষোভের একদিন আগে পরিস্থিতি বিবেচনা করে। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, বিক্ষোভে অনুমতি দেওয়া না দেওয়াটা তাদের অধিকারে পড়ে না। সরকারই এব্যাপারে অথরিটি। তাই দিল্লি পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে তারা কোনও নির্দেশ দেবে না।
আবেদন তুলে নিয়েছে কেন্দ্র
এদিকে
সুপ্রিম
কোর্টের
এই
মনোভাবের
পরে
কেন্দ্র
ট্র্যাক্টর
র্যালির
বিরুদ্ধে
করা
তাদের
আবেদন
তুলে
নিয়েছে।
আটটি
কৃষক
সংগঠনের
তরফে
শুনানিতে
অংশ
নিয়েছিলেন
প্রশান্তভূষণ।
তিনি
শুনানিতে
বলেছেন,
শান্তি
বিঘ্নিত
করার
কোনও
ইচ্ছা
কৃষকদের
নেই।
তবে
সেই
সময়
অ্যাটর্নি
জেনারেল
কেকে
বেনুগোপাল
হরিয়ানার
কারনালের
ঘটনা
তুলে
ধরেন।
যে
কারণে
সেখানকার
মুখ্যমন্ত্রী
কৃষকদের
সঙ্গে
দেখা
করেননি
বলেও
জানান
তিনি।
আদালত
কৃষকদের
তরফে
শান্তি
বজায়
রাখার
আশ্বাসের
কথা
বলে।
পাশাপাশি
র্যালি
কীভাবে
শান্তিপূর্ণ
থাকতে
পারে,
তার
জন্য
কেন্দ্রকেও
দেখতে
বলে
আদালত।
জানা
গিয়েছে
এদিন
বিকেলে
কৃষক
নেতারা
দিল্লি,
হরিয়ানা,
উত্তর
প্রদেশ
প্রশাসনের
সঙ্গে
আলোচনায়
বসতে
চলেছে,
তাঁদের
প্রস্তাবিত
রুট
ঠিক
করতে।
আদালত সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেছিল দিল্লি পুলিশকেই
এর আগে বিষয়টি নিয়ে সোমবারেও সর্বোচ্চ আদালতে ধাক্কা খেয়েছিল কেন্দ্র। ট্র্যাক্টর মিছিলে স্থগিতাদেশ চেয়ে কেন্দ্রের তরফে আবেদন করা হয়েছিল। সেই সময়ও কেন্দ্র জানিয়েছিল এব্যাপারে তাঁরা কোনও রকমের নির্দেশিকা দেবে না। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায় দিল্লি পুলিশের ওপরেই ছেড়েছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। ওইদিন দিল্লি পুলিশের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি পুরোটাই দেখে থাকে দিল্লি পুলিশ। তাই তারাই ঠিক করবে কাকে অনুমতি দেওয়া হবে, আর কাকে তা দেওয়া হবে না। আদালত এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বলে জানানো হয়েছিল। শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ছিল বুধবার, ২০ জানুয়ারি।
শুভেন্দুই প্রার্থী নন্দীগ্রামে! একুশের নির্বাচনে মমতাকে হারানোর ছক তৈরি বিজেপির