পুলিশকে লক্ষ্য করে রামপালের সমর্থকদের গুলি-বোমা, যুদ্ধক্ষেত্র হিসার
একটি মামলায় আদালতের নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেছিলেন হরিয়ানার এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। এর ফলে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। বিচারপতিরা নির্দেশ দেন, ২১ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে সশীরে হাজির করতে হবে আদালতে। সেই আদেশ মেনে এ দিন সকালে পুলিশ যায় হিসার শহরের নিকটবর্তী বারওয়ালার সৎলোক আশ্রমে। কিন্তু আশ্রমে ঢুকতে পারেনি পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। গুলি-বোমা উড়ে আসে।
এর পরই পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করে। কিন্তু তারা আশ্রম লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালাতে পারেনি। কারণ, পুলিশের কাছে খবর রয়েছে যে, অন্তত কয়েকশো মহিলা ও শিশুকে ভিতরে আটকে রেখেছে রামপালের গুন্ডারা। এঁদের আশপাশের এলাকা থেকে জোর করে ধরে আনা হয়েছে। অর্থাৎ হিউম্যান শিল্ড বা মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলিশের সন্দেহ, এই সংঘর্ষের ফাঁকে সৎলোক আশ্রম ছেড়ে হয়তো পালিয়ে গিয়েছেন রামপাল। সংঘর্ষে অনেকে জখম হয়েছেন। সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
ঘটনার গুরুত্ব বুঝে জরুরি বৈঠক করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। যে কোনও মূল্যে রামপালকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।