'আমি না গেলে কে যাবে?', কর্তারপুর যাওয়া নিয়ে মন্তব্য সানির
অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা সানি দেওলও কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন। বিষয়টি নিজে জানিয়েছেন এই বিজেপি সাংসদ।
অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা সানি দেওলও কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন। বিষয়টি নিজে জানিয়েছেন এই বিজেপি সাংসদ। চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া লোকসভা নির্বাচনে পঞ্জাবের গুরুদাসপুর থেকে নির্বাচিত এই সাংসদ বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা এআনই-কে এই বিষয়ে বলেন, "আমি না গেলে আর কে যাবে? আমি অবশ্যই যাব। ওটা আমার এলাকা। আমার বাড়ি সেখানে"
সাংসদ নির্বাচিত হয়েই করিডরের কাজ তদারকি
এর আগে লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রচার শুরুর আগেও সানি গুরুদাসপুরে অবস্থিত গুরুদ্বারে প্রার্থনা সেরেছিলেন। এলাকার শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে ছুঁয়ে তাঁদের মনজয় করতেই সেই প্রার্থনা বলে মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এবং নির্বাচনে জিতেই গুরুদাসপুর থেকে কর্তারপুর পর্যন্ত করিডরের কাজের তদারকিতেও তাঁকে দেখা যায়।
হাই প্রফাইল লিস্ট
সানি ছাড়াও ভারতে থেরে কর্তারপুর যাচ্ছেন এমন ব্যক্তিত্বদের তালিকা বেশ উল্লেখজনক। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যপ্টেন অমরিন্দর সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদলরা রয়েছেন এই তালিকায়। এদিকে উল্লেখযোগ্য ভাবে কর্তারপুরের উদ্ধোধনে উপস্থিত থাকবেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা অমৃতসরের কংগ্রেস বিধায়ক নভজ্যোত সিং সিধুও। বৃহস্পতিবার সিধুর কেন্দ্রকে লেখা তৃতীয় চিঠির পর এই সবুজ সংকেত মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতের তরফে মোট ৫৫০ জন পূণ্যার্থীর তালিকা পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই পূণ্যার্থীরা জাঠা করে কর্তারপুর করিডর দিয়ে পাকিস্তানের গুরুদ্বার কর্তারপুর সাহিব-এ যাবেন।
শিখদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান কর্তারপুর
ডেরা বাবা নানক পাকিস্তানের পাঞ্জাবের নারোওয়াল জেলায় অবস্থিত। শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর সেখানে কাটিয়েছিলেন। চার কিলোমিটার দীর্ঘ কর্তারপুর করিডোর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকবে। যে তীর্থযাত্রীরা সকালে রওনা হবেন, তাঁদের ফিরতে হবে সেদিনের মধ্যেই। সারা বছরই করিডোর খোলা থাকবে। যদি কোনও দিন বন্ধ থাকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে আগে।