সরকারি আবাসে ঢোকার আগে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করান! ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ ঘিরে চাঞ্চল্য
মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রীরা তাদের সরকারি আবাসে ওঠার আগে যেন সেখানকার সেপটিক ট্যাঙ্কগুলি পরীক্ষা করে দেখেন। ত্রিপুরার নতুন মন্ত্রীদের কাছে এমনটাই আবেদন করলেন বিজেপির ভারপ্রাপ্ত নেতা সুনীল দেওধর।
মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রীরা তাদের সরকারি আবাসে ওঠার আগে যেন সেখানকার সেপটিক ট্যাঙ্কগুলি পরীক্ষা করে দেখেন। ত্রিপুরার নতুন মন্ত্রীদের কাছে এমনটাই আবেদন করলেন বিজেপির ত্রিপুরার ভারপ্রাপ্ত নেতা সুনীল দেওধর। টুইট বার্তায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন করা হয়েছে।
টুইটে সুনীল দেওধর জানিয়েছেন, ২০০৫ সালের ৪ জানুয়ারি সদ্য প্রাক্তন হওয়া ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মহিলার কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল। ত্রিপুরায় ২৫ বছর ধরে ক্ষমতায় যারা ছিল, তারা রাজনৈতিক হত্যাকারী বলেও অভিযোগ করেছেন দেওধর। সেই সময় তদন্ত ধামাচাপা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সেই কারণেই সরকারি আবাসে যাওয়ার আগে মন্ত্রীরা যাতে তাদের সেপটিক ট্যাঙ্ক পরীক্ষা করে দেখেন সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে টুইট করেছেন সুনীল দেওধর।
I request @BjpBiplab, new CM of Tripura, to get septic tanks of all minister quarters cleaned before occupying them. It should be recollected that a woman’s skeleton was found in septic tank of Ex CM Manik Sarkar's quarter on Jan 4, 2005 but the case was deliberately suppressed.
— Sunil Deodhar (@Sunil_Deodhar) March 10, 2018
ত্রিপুরায় সিপিএম-এর ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌতম দাস সুনীল দেওধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
ভোটে জেতার দিন দুয়েকের মধ্যেই ত্রিপুরার বিলোনিয়ায় বুলডোজার দিয়ে লেনিনের মূর্তি ভাঙা নিয়ে দেশ ব্যাপী বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে সুনীল দেওধরের টুইট যে নতুন করে এক সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি করল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ২০০৫ সালের সেই ঘটনার ফাইল নতুন করে খোলা হবে।
Congratulated @BjpBiplab Ji on taking charge as Chief Minister of Tripura along with Ajay Jamwal Ji. pic.twitter.com/U8lJKcxxcD
— Sunil Deodhar (@Sunil_Deodhar) March 10, 2018
২০১৪ সালে সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন সুনীল দেওধর। ২০১৫ সালে বিজেপির মহারাষ্ট্র নিবাসী এই নেতাকে ত্রিপুরার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই থেকে প্রত্যেক মাসের প্রায় অর্ধেক সময় তিনি ত্রিপুরাতেই কাটিয়েছেন। সফর করেছেন রাজ্যের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায়। বলা যেতে পারে বিজেপির ত্রিপুরা জয়ের পিছনে চাবি কাঠি এই সুনীল দেওধরই। তাঁর এই ধরনের মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।