সুনন্দা পুষ্করের ভিসেরা রিপোর্টে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের ইঙ্গিত , অসম্পূর্ণ রিপোর্ট বলছে পুলিশ
গত শুক্রবার সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি বা সিএফএসএল যে রিপোর্ট দিল্লি পুলিসের হাতে তুলে দিয়ে, তা তদন্তের ক্ষেত্রে যে খুব একটা সাহায্য করবে তা না। ভিসেরা রিপোর্টে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের দিকেই ইঙ্গিত করছে। ফলে সুনন্দা পুরস্কারের মৃত্যুর জন্য এখনও সুনির্দিষ্ট ভাবে এফআইআর দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারি অফিসার।
এটা প্রত্যাশিত ছিল যে, কী ধরণের বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং কতোটা পরিমাণে প্রয়োগ করা হয়েছিল, সঠিক জানা যাবে ভিসেরা রিপোর্টে। অথচ বিষক্রিয়ার তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে ভিসেরা রিপোর্ট। ফলে তদন্তের স্বার্থে এবার এইমস-এর চিকিত্সকদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় পুলিস।
এফআইআর দায়েরের জন্য এই ভিসেরা রিপোর্ট অমীমাংসিত ও অসম্পূর্ণ বলেই মনে করছে পুলিশ
প্রায় দুমাস আগে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল সুনন্দা পুষ্করের। ঘটনার তদন্থ শুরু হয়। ময়নাতদন্তে উঠে আসে সুনন্দার আকস্মিক ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর তত্ত্ব।
এদিকে ভিসেরা রিপোর্ট বলছে, অ্যালপ্রাজোলাম ও এক্সেড্রিন নামের দু'টি বিপরীতধর্মী ওষুধ নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া গিয়েছে সুনন্দার শরীরে। তবে সেই মাত্রা ঠিক কতটা, তা নিয়ে স্পষ্ট আলোকপাত করা নেই রিপোর্টে। সে কারণেই এখনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়, যে অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ সেবন করে সুনন্দা আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন, নাকি নিছকই দুর্ঘটনাবশত মারা গিয়েছেন তিনি।
এদিকে তদন্তকারি অফিসাররা জানিয়েছিলেন,অ্যালপ্র্যাক্স নামেরর একটি ওযুধের দুটি স্ট্রিপ সুনন্দার হোটেলের ঘরে পাওয়া যায়। ১৫টি ওষুধের একটি পুরো স্ট্রিপ খালি ছিল ও অন্যটিতে মাত্র ৩টি ওযুধ পড়ে ছিল। অথচ সুনন্দার মৃত্যুর পরে তার পেটে ওই ওযুধের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তদন্তকারি পুলিশদের মতে, যদি সুনন্দা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পরিমাণ ওষুধই সেবন করতেন তাহলে কেন ফাঁকা স্ট্রিপটি ঘরে পড়েছিল।
ময়নাতদন্তে সুনন্দার শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্নের দাগও মেলে। এমনকী ডান হাতের উপরের দিকে দাঁত দিয়ে কামড়ানোর গভীর দাগও রয়েছে। সে বিষয়েও তদন্ত করবে পুলিশ। তবে ভিসেরা রিপোর্ট যে সম্পূর্ণ নয় তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ। ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরও সেভাবে মুখ খুলতে নারাজ শীর্ষ তদন্তকারী অফিসাররা।