সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলা, আদালতে হাজিরা দিয়ে লাভবান হলেন শশী থারুর
শনিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট শশী থারুরের আগাম জামিনকে বদলে নিয়মিত জামিনে রবপান্তরিত করল।
আগাম জামিনের নিশ্চয়তা নিয়েই সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। জামিনের ১ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার পরই শশীর স্বস্তি বাড়িয়ে দিল্লির পাতিয়ালা কোর্ট সেই আগাম জামিনকে বদলে দিল নিয়মিত জামিনে।
এমনকী এই জামিনের জন্য আলাদ করে আবেদনও করতে হবে না শশী থারুরকে। জামিন মঞ্জুর করার সময় পাতিয়ালা হাউস কোর্টের বিচারক জানান, 'দায়রা আদালত আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে, তাই আলাদা করে আর জামিনের আবেদন করার প্রয়োজন নেই'।
এদিন আদালতে জামিনের বিষয়টি নিয়ে বেশি সময় না ব্যয় করা হলেও শুনানি চলে বিজেপি সাংসদ সুব্রমনিয়ন স্বামীর আবেদন নিয়ে। স্বামী এই মামলায় তদন্তকারীদের সহায়তা করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন। সেই সঙ্গে আগের তদন্তের ভিজিল্যান্স রিপোর্টও দেখতে চেয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু শশী থারুরের আইনজীবী এই মামলায় তাঁর 'লোকাস স্ট্যান্ডি' নিয়েই প্রশ্ন তোলেন।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৬ জুলাই। ওইদিন বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে আদালতের তরফে।
গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল কোর্ট। তার আগে সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলায় অভিযুক্ত থারুরকে আদালতে আত্মসমর্পন করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। যাবতীয় অভিযোগকে শশী থারুর 'অসত্য এবং ভিত্তিহীন' বলে আগাম জামিনে আবেদন করেছিলেন।
গত ৫ জুন আদালত বলেছিল, সিটের চার্জশিটে যে তথ্য রয়েছে, তাই শশীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। মামলাটি শুনেছেন অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যজিস্ট্রেট সমর বিশাল। তিনি জানিয়েছিলেন, সরকারি আইনজীবির অভিযোগ শুনে ও চার্জশীটটি পড়ে তিনি অভিযোগ মেনে নিয়েছেন।
মামলার শুরু থেকে বরাবরই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন কেরলের এই কংগ্রেস সাংসদ। কিন্তু আদালতে দিল্লি পুলিশ ৩০০০ পাতার চার্জশীট পেশ করে। যেখানে অভিযুক্ত হিসেবে একমাত্র শশীর নামই উল্লেখ করা হয়েছিল।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি জিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে মিলেছিল সুনন্দা পুষ্করের মৃতদেহ। তার দুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শশীর সঙ্গে এক পার মহিলা সাংবাদিকের প্রণয়ের সম্পর্কের অভিযোগ করেছিলেন সুনন্দা।