বৈঠকে উপস্থিত থাকতে ফেসবুককে সমন, করোনা টিকার প্রতিশ্রুতি সংসদীয় কমিটির
বৈঠকে উপস্থিত থাকতে ফেসবুককে সমন
ভার্চুয়ালি নয়, উপস্থিত হতে হবে সশরীরে। শনিবার কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর নেতৃত্বাধীন তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে ফেসবুককে এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কোভিড–১৯ নীতির উদ্ধৃতি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক সশরীরে উপস্থিত না থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ নিতে চেয়েছিল। কিন্ত সংসদীয় কমিটি সেই অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছে ফেসবুকের।
টিকাকরণের প্রস্তাব
কমিটির পক্ষ থেকে ফেসবুকের কর্মকর্তাদের বৈঠকে আসার আগে টিকাকরণ করিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও এই বৈঠকের দিনক্ষণ কিছু নির্ধারিত হয়নি। সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে এও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ফেসবুক ছাড়া ইউটিউব, গুগল ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া ও ওয়েব প্ল্যাটফর্মদেরও তাদের প্রতিনিধি সশরীরে এই বৈঠকে পাঠানোর জন্য বলা হবে। কমিটিকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ফেসবুক জানিয়েছে যে তাদের কর্মকর্তারা এই বৈঠকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারবেন না কারণ কোভিড মহামারির দ্বিতীয় ওয়েভের জন্য তাদের প্রতিনিধিরা কোনও বৈঠকে যাচ্ছেন না। তাই ফেসবুকের কর্মকর্তারা অনলাইনে বৈঠকে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অনলাইনে বৈঠক নয়
অন্যদিকে, ফেসবুকের এই প্রতিক্রিয়া দেখে কমিটিও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। কমিটির সব সদস্যরা একজোট হয়ে এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে অনলাইনে কোনও বৈঠক হবে না এবং ফেসবুক কর্মকর্তাদের সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'ফেসবুক কর্মকর্তাদের বৈঠকে সামিল হওয়ার আগে টিকাকরণ করানো হবে এবং কমিটির বৈঠকে আসার আগে পর্যাপ্ত সময়ও দেওয়া হবে।' সংসদীয় কমিটির এই প্রস্তাব নিয়ে যদিও ফেসবুকের পক্ষ থেকে কোনও জবাব এখনও পাওয়া যায়নি।
টুইটারের সঙ্গে আলোচনা কমিটির
প্রসঙ্গত, সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে বুধবার এ দেশে আইনি রক্ষাকবচ হারিয়েছে টুইটার। আমেরিকার এই মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইটিই প্রথম সংস্থা যাদের উপর থেকে এই রক্ষাকবচ সরিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জেরে টুইটারে পোস্ট করা সমস্ত টুইটের দায় নিতে বাধ্য থাকবে তারা। শুক্রবার কমিটির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য টুইটারকেও ডেকে পাঠানো হয় এবং টুইটারের দু'জন কর্মকর্তাকে কমিটির আলোচনায় সশরীরে উপস্থিতও ছিলেন। কমিটির সমন পেয়ে শুক্রবার তার সদস্যদের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন এ দেশে টুইটারের নীতি নির্ধারক বিষয়ক ম্যানেজার শগুফতা কাম্মান এবং আইনি পরামর্শদাতা আয়ুষি কাপুর। নেটমাধ্যমের জন্য আনা নতুন নিয়মগুলি পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করার জন্য তাঁদের তিরস্কার করে কমিটি। শুক্রবার এই কমিটি টুইটারকে দেশের আইন মেনে চলতে বলেছিল। কমিটি জিজ্ঞাসা করেছিল যে নতুন আইটি বিধি অনুযায়ী ফেসবুক কেন এখনও ভারতে পূর্ণ সময়ের মুখ্য অভিযোগকারী অফিসার নিয়োগ করেনি? জবাবে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি টুইটারের কর্তারা।
কমিটি উদ্বিগ্ন
ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ও ওয়েব প্ল্যাটফর্মকে নিয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠক কবে নাগাদ হবে এখনও তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব প্রচারের পাশাপাশি মহিলাদের সুরক্ষা সম্পর্কিত বিশয় অপব্যবহার সম্পর্কে কমিটি উদ্বিগ্ন।