হরিয়ানায় বারালার পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা, কী বললেন রাজ্য বিজেপি প্রধান
গতরাত থেকেই হরিয়ানার বিভিন্ন বিজেপি অফিস সেজে উঠেছিল। কারণ অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই বিজেপির ঝড়ে কংগ্রেসের উড়ে যাওয়ার কথা বলে হয়েছিল।
গতরাত থেকেই হরিয়ানার বিভিন্ন বিজেপি অফিস সেজে উঠেছিল। কারণ অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই বিজেপির ঝড়ে কংগ্রেসের উড়ে যাওয়ার কথা বলে হয়েছিল। তবে আজ সকালে ফল প্রকাশ শুরু হতেই বোঝা যায় যে ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে বিধানসভা। আর বেলা বাড়তেই বিজেপি হরিয়ানায় সমর্থকদের উচ্ছ্বাস কমে যায়। এই পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করলেন রাজ্য বিজেপির দায়িত্বে থাকা সুভাষ বারালা। এমনই গুজব রটে যায়। সরকার গঠন করতে দল ব্যর্থ হবে বুঝেই পদত্যাগ বলে মনে করেছেন বলে খবর ছড়ায়। যদিও এই খবর অস্বীকার করেছেন বারালা।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে বিজেপি
২০১৪ সালে প্রথমবার হরিয়ানাতে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। সেবার ছিল মোদী ঝড়। এবারও পরিস্থিতি অনেকটা এক। তবে এবার বিজেপির পরীক্ষা ক্ষমতা ধরে রাখার। সোমবার ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পর বিজেপির সেই লক্ষ্যপূরণের কথা ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিল অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা। ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভাতে একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার থেকে দূরে রয়েছে বিজেপি। এদিকে বুথ ফেরত সমীক্ষায় কংগ্রেস উড়ে যাবে বলে বলা হলেও সরকার গঠন করতে আঞ্চলিক দলগুলির সাহায্য চাইতে শুরু করেছেন হুডা। বিজেপির থেকে কম আসন পেলেও ফল খারাপ হয়নি কংগ্রেসের।
দুষ্মন্তের উত্থান
এদিকে রাজ্যে কিংমেকার হিসাবে উঠে এসেছেন দুষ্মন্ত চৌতালা। ২০১৮-তে তৈরি হওয়া তাঁর দল জেজেপি ডবল ফিগারে পৌঁছাতেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব দাবি করেন দুষ্মন্ত। হরিয়ানার কুমারস্বামী তিনি হতে পারবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট না হলেও সূত্র মারফত জানা গেছে কংগ্রেস তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব দেওয়ার কথা বলেছে।
|
বিফল প্রচেষ্টা বিজেপি-র
দুষ্মন্তকে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করেছিল বিজেপিও। সকালের প্রাথমির প্রবণতা দেখেই দুষ্মন্তকে নিজেদের দিকে টেনে সরকার গঠনের পথ মসৃণ করতে লেগে পড়ে বিজেপি। সূত্রের খবর এনডিএ সরিক শিরোমণি অকালি দলের নেতা প্রকাশ সিং বাদল ও সুখবির সিং বাদলকে দুষ্মন্তের সঙ্গে কথা বলতে বলে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে সেই আলোচনা ফলপ্রশু হয়েছে বলে মনে হয় না।
ফ্রন্ট ফুটে দুষ্মন্ত
পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হতেই আরও ফ্রন্ট ফুটে খেলার নীতি গ্রহণ করেন দুষ্মন্ত। কর্নাটকে কুমারস্বামীর মতো তাঁর ভাগ্য খুলে যেতে পারে বুঝতে পেরে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, "সন্ধ্যায় আমাদের দলের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ বৈঠক বসবে। সেখানেই কোন দলের সঙ্গে জোট হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত আমি এটা নিয়ে কারুর সঙ্গে কথা বলিনি।"