মিড ডে মিলে নুন ভাত, অধ্যক্ষের জন্য জারি স্থগিতাদেশ
উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলেতে দেওয়া হল ভাত ও নুন। আর ছাত্রদের সেই ভাত ও নুন খাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘন্টা পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্কুলের অধ্যক্ষের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেছেন এবং গ্রামের প্রধানকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
শিশুদের মধ্যাহ্নভোজ
স্কুল
থেকে
ভাইরাল
হওয়া
ভিডিওতে,
শিশুদের
মধ্যাহ্নভোজের
কর্মসূচির
অংশ
হিসেবে
সেদ্ধ
ভাত
ও
লবণ
খেতে
দেখা
যায়।
ভিডিওটি
স্কুলের
ভিতরের
বিভিন্ন
অংশ
দেখানো
হয়।
ভিডিওগ্রাফারও
ওই
দিন
কী
কী
মেনু
হয়েছে
তাও
দেখায়।
একতা যাদবের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ
বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অযোধ্যার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নীতীশ কুমার অযোধ্যার চৌরেবাজার এলাকার দিহওয়া পান্ডের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ একতা যাদবের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন এবং গ্রামের প্রধানকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
দুপুরের খাবার সংগ্রহ
স্কুলটি
একটি
গ্রামের
কাছাকাছি
হওয়ায়,
বেশ
কয়েকজন
শিক্ষার্থী
তাদের
দুপুরের
খাবার
সংগ্রহ
করে
এবং
দুপুরের
খাবারের
বিরতির
সময়
বাড়িতে
যায়।
তাই
ভাত
ও
নুনের
এই
ঘটনার
কথা
জানতে
পেরেছেন
কয়েকজন
অভিভাবকও।
বেশ
কয়েকজন
অভিভাবক
স্কুলের
বিরুদ্ধে
বিক্ষোভ
করেছেন।
শিক্ষা
দফতরের
আধিকারিকদের
পুরো
বিষয়টি
তদন্ত
করতে
এবং
সময়ে
সময়ে
আকস্মিক
পরিদর্শন
করতে
বলা
হয়েছে।
মিড-ডে মিল কী?
মিড-ডে মিল ভারত সরকারের একটি জনকল্যাণমুখী প্রকল্প। প্রকল্পটির সঙ্গে বিদ্যালয় শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। ভারতবর্ষের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে। দারিদ্র্যের কারণেই এদেশের মানুষের কাছে বিদ্যালয় শিক্ষা বিলাসিতা মাত্র। কিন্তু নিরক্ষরতামুক্ত সুস্থসবল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তােলবার জন্য প্রয়ােজন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেও নতুন প্রজন্মকে বিদ্যালয়মুখী করে তোলা। এই ভাবনা থেকেই মিড-ডে মিলের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল ভারত সরকার।
প্রয়োজনীয়তা
বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার গবেষণা থেকে জানা যায় ভারতের শিশু-কিশােরদের একটি বড়াে অংশই অপুষ্টিজনিত রােগে ভুগছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে ৬ থেকে ৯ বছরের । শিশুদের ৫৮.৬ শতাংশ, ১০ থেকে ১৩ বছরের কিশােরদের ৭৭.৯ শতাংশরই ওজন স্বাভাবিক ওজনের থেকে কম। নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্যপ্রদানের মাধ্যমে স্বাভাবিক শিশু-কিশাের গড়ে তােলবার জন্যে এবং স্কুলছুট শিক্ষার্থীর হার কমাবার জন্য নিয়মিত রান্না করা খাবার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ছুটির দিন বাদে প্রত্যহই পরিবেশন করার প্রকল্প নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পের নামই মিড-ডে মিল প্রকল্প। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী বা পরবর্তীকালে বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা চালু ছিল।