এবারের বাজেটে আয়করের স্ল্যাবে পরিবর্তনের সম্ভাবনা, বাড়তে পারে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন
অর্থনীতির হাল ফেরাতে কর্পোরেট ট্যাক্সে পরিবর্তন করা হয়েছে। এবারের বাজেটে সেইদিকে হাত দেওয়ার উপায় নেই বললেও চলে। সূত্রের খবর অনুযায়ী,সরকার আয়করে কিছু গঠনগত পরিবর্তন করতে পারে। ২০২০-২১-এর বাজেটে সেই ঘোষণা করা হতে পারে। গ্রাহকের চাহিদা বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হতে পারে বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর পর সরকার এবার অন্য প্রস্তাব বিবেচনা করছে। অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, আয়কর এবং হাউজিং-এর ক্ষেত্রে এই প্রস্তাব কার্যকরী করা হতে পারে। এর আগে টাস্ক ফোর্স রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে থাকা ট্যাক্সের তিনটি স্ল্যাবের বদলে চারটি স্ল্যাব তৈরির কথা বলা হয়েছিল তাতে।
আয়করে সম্ভাব্য প্রস্তাব
বাজেটে প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে যাঁদের বাৎসরিক আয়কর ২.৫ লাখ থেকে ১০ লাখের মধ্যে তাদের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ট্যাক্স, ১০ থেকে ২০ লক্ষ আয়ের মধ্যে ২০ শতাংশ ট্যাক্স, ২০ লাখ থেকে ২ কোটির মধ্যে আয়ে ৩০ শতাংশ ট্যাক্স। আর ২ কোটির ওপরে আয়ে ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ।
বর্তমান আয়করের স্ল্যাব
বর্তমানে ২.৫ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আয়ে ৫ শতাংষ ট্যাক্স, ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা আয়ে ২০ শতাংশ ট্যাক্স এবং ১০ লক্ষের ওপর আয়ে ৩০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয়।
বাড়ানো হতে পারে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন
বর্তমানে চাকুরিজীবীদের স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার টাকা। যা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার টাকা করা হতে পারে।
বাড়তে পারে অবসরকালীন সুবিধা
অন্যদিকে চাকুরিজীবীদের অবসরকালীন সুবিধা বাড়তে পারে। গ্র্যাচুইটি ছাড় হতে পারে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ছুটির বদলে টাকার প্রাপ্তিতে ট্যাক্স ছাড় হতে পারে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, পেনশন কমিউটেশনে ছাড় হতে পারে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আর স্বেচ্ছা অবসরে ছাড় হতে পারে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
যদিও কোনও সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের হাতে সীমিত সুযোগ রয়েছে। কেননা আয়কর সংগ্রহ বর্তমান আর্থিকবছরে কম হওয়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধি ২০১৩-র চতুর্থ ত্রৈমাসিকের পর সব থেকে কম।