'চুম্বন নিষেধ' ভালবাসার কোন গাঢ় অভিব্যক্তির প্রকাশ চলবে না সত্যম শিবম সুন্দরম সোসাইটিত
'চুম্বন নিষেধ' ভালবাসার কোন গাঢ় অভিব্যক্তির প্রকাশ চলবে না সত্যম শিবম সুন্দরম সোসাইটিত
প্রকাশ্যে চুম্বন থেকে জড়িয়ে ধরা কোনও কিছুই করা যাবে না। ভীষণ ভাবে আপত্তি রয়েছে এখানে। মুম্বইয়ের বোরিভেলির এই আবাসনে যুগলদের জন্য একেবারে কড়া বার্তা দিয়ে রাখা হয়েছে। বড় বড় করে যেমন রাস্তায় লেখা থাকে ঠিক তেমনই হলুদ রং দিয়ে বড় বড় করে আবাসনের রাস্তায় লেখা রয়েছে নো কিসিং জোন। দিনে দুপুরে যুগলে যাতে প্রকাশ্যে কোনও রকম চুম্বন না করেন তার জন্য রীতিমতে সতর্কবানী লিখে দেওয়া হয়েছে।
নো কিসিং জোন
মুম্বইয়ের সত্যম শিবম সুন্দর কলোনি। প্রবল কড়াকড়ি এই আবাসনে। ভালবাসার গাঢ় অভিব্যক্তি একেবারে নিষিদ্ধ এখানে। চুম্বন তো একেবারেই না। তার জন্য বড় বড় করে লেখা নো কিসিং জোন। অর্থাৎ এখানে কোনও রকম চুম্বন চলবে না । রাস্তায় েযমন ট্রাফিক পুলিশ লেখা থাকে সেভাবেই হলুদ রং দিয়ে আবাসনের রাস্তায় বড় বড় লেখা রয়েেছ শব্দগুলো। হঠাৎ করে এমন আজব নিয়ম কেন এই আবাসনে। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শহরের আর এতো আবাসন রয়েছে কোথাও কোনও এমন আজব নিয়ম তো লেখা নেই। তাহলে কেন কেবল এই আবাসনেই এই নিয়ম এই নিয়ে অনেকেই বেশ সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেছে। রাস্তায় ঘুরতে ফিরতে এমন আজব লেখা দেখে অনেকেই থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন।
কেন এই আজব নিয়ম
আবাসনের আবাসকিরাই জানিয়েছেন বাধ্য হয়েই তাঁরা এই নিয়ম করেছেন। প্রায়ই তাঁদের আবাসনে একাধিক যুগলকে বেশ ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর দফায় দফায় লকডাউনের সময়ই একাধিক যুগলকে দুপুরে এবং বিকেলে ভীষণ ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গিয়েছে আবাসন চত্ত্বরে। পরিবার নিয়ে বাস। তাই প্রকাশ্যে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এমনকী পুলিশও একাধিক যুগলকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরে আবাসনের কমিটিতে অভিযোগ জানিয়েছিল। তারপরেই সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই নিয়ম জারি করেন।
এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কি জারি করা যায়
হঠাৎ করে আবাসনে এভাবে নো কিসিং জোন লিখে দেওয়া কী ঠিক হল প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন অনেকেই। আবাসনের কমিটির চেয়ারম্যান বিনয় অনসুরকর জানিয়েছেন তাঁরা প্রেমের বিরোধী তাঁরা নন কিন্তু প্রেমের নামে কেউ অশোভন আচরণ প্রকাশ্যে করলে তাতে তাঁদের আপত্তি রয়েছে। তিনি বলেছেন,চুম্বনের বিরোধীও তিনি নন। িকন্তু ঘরের দরজা খুললেই চুম্বন দৃশ্য দেখতে হবে বা জানলায় দাঁড়ালেই চুম্বন দৃশ্য দেখতে হবে এমনটা কেউ চাইবেন না। তাঁরাও সেটা চান না। এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরে সেই সব কীর্তি একেবারেই কমে গিয়েছিল। অনেকেই আসেন তবে সেলফি তুলে চলে যান।
চুম্বন কি অপরাধ
হঠাৎ করে সোশ্যাইটির বাইরের রাস্তায় এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জাির নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কাউকে চুম্বন করবেন সেটার জন্য কারোর অনুমতি নিতে হবে কেন। অনেকেই আবাসনের কমিটির নীতিপুলিশগিরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাতে বারবারই তাঁরা দাবি করেছেন প্রেম বা চুম্বন কোনওটাতেই তাঁদের আপত্তি নেই। কেলন নিজের এলাকাকে কিসিং স্পট বানাতে চান না তাঁরা। সেকারণেই বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।