'লভ, সেক্স অউর ধোকা' এবং প্রতিশোধ , এই ফাঁদেই খতম জঈশ জঙ্গি, জানুন 'এনকাউন্টার'-এর নেপথ্যের ঘটনা
মহিলা পুলিশকে জানান, যে সে খালিদের গার্লফ্রেন্ড। আর খালিদকে ধরতে সমস্ত রকমের সাহায্য় তিনি পুলিশকে করতে রাজি রয়েছেন। কিন্তু কেন ?
২০ বছরের এক কাশ্মীরি যুবতী হঠাৎই এক সকালে পুলিশ থানায় গিয়ে হাজির। ধরা ধরা গলায় সে জানায় জঈশ-এ-মহম্মদ কমান্ডার খালিদকে তিনি মৃত দেখতে চান। ওই মহিলা পুলিশকে জানান, যে সে খালিদের গার্লফ্রেন্ড। আর খালিদকে ধরতে সমস্ত রকমের সাহায্য় তিনি পুলিশকে করতে রাজি রয়েছেন। শুধু জঙ্গি খালেদকে ধরে দিতে হবে। এটাই একমাত্র দাবি।
কিন্তু কেন এই বক্তব্য কেন। তার নেপথ্যে রয়েছে খালিদের সঙ্গে মহিলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের খতিয়ান।
কেন খালিদকে মারতে চেয়েছিল মহিলা?
ওই মহিলা, পুলিশকে জানান যে তিনি খালেদের গার্লফ্রেন্ড। তিনি অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন সেই খবর খালিদকে জানান। কিন্তু খালিদ সাফ জানিয়ে দেয় তাদের সন্তান বা ওই মহিলাকে নিয়ে কোনও রকমের ভাবনা চিন্তা নেই খালিদের। সে দায়িত্ব নিতে নারাজ।
এরপর যা হয়
এরপর ওই মহিলা, তাঁর এক আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে গর্ভপাত করেন। তারপর থেকেই জঈশ জঙ্গি খালিদকে মারবার জন্য মুখিয়ে ওঠেন ওই মহিলা। নিরন্তর প্রতিশোধ নিতে চান তিনি।
এনকাউন্টারের আগের ঘটনা
কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে খালিদ মহিলাদের কাছে 'লাভার বয়' ভাবমূর্তি নিয়ে ঘুরত। এদিকে, ততক্ষণে প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলতে থাকা ওই মহিলা পুলিশকে খালিদের সমস্ত খবর দিতে থাকেন।
এনকাউন্টার
ওই মহিলা ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন মহল থেকে পুলিশ জনাতে পারে , যে খালিদ কাশ্মীরের সোপোরে এসে রয়েছে। গা ঢাকা দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী খালিদের অপেক্ষা করতে থাকে। এরপর, বাকি ঘটনা ঘটে বারামুল্লাতে। খানিকক্ষণের মধ্যে লাদুরার স্কুলে লুকিয়ে থাকা খালিদ এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। ফলে মুহুর্তে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় খালিদ।