বিচারপতিরা পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে তফাতে দাঁড়ান, এলাহাবাদ হাইকোর্টের সার্কুলারে বিতর্ক
বিচারপতিরা হেঁটে এলে তফাতে দাঁড়ান। রাস্তা ছেড়ে তাঁদের সম্মান দেখান। কর্মচারী-আধিকারিকদের উদ্দেশে এলাহাবাদ হাইকোর্টের এমনই এক নির্দেশকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
বিচারপতিরা হেঁটে গেলে তফাতে দাঁড়ান। রাস্তা ছেড়ে তাঁদের সম্মান দেখান। কর্মচারী-আধিকারিকদের উদ্দেশে এলাহাবাদ হাইকোর্টের এমনই এক নির্দেশকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ৩০ মার্চ এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের তরফে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, আদালতের গ্যালারিতে বিচারপতিদের পদচারণার সময় কর্মচারীরা না দাঁড়ালে, তা অসম্মান প্রদর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সার্কুলারকে সামন্ততান্ত্রিক বলে আখ্যা দিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের কর্মচারীদের একাংশ।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, অনেক সময় গ্যালারি দিয়ে এজলাস কিংবা নিজেদের চেম্বারে যাওয়ার সময় মহামান্য বিচারপতিদের রাস্তা আটকে নির্দ্বিধায় হেঁটে চলে যান কর্মচারী এবং আধিকারিকরা। বিচারপতিদের জন্য অপেক্ষা তো দূর, চলার পথে বিচারপতিদের দিকে কর্মচারী এবং আধিকারিকরা ফিরেও তাকান না বলে এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে জারি করা সার্কুলারে অভিযোগ করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে বিচারপতিদেরই মাঝপথে দাঁড়িয়ে পড়া অসম্মানজনক বলেই দাবি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:বিজেপির প্রশংসা করতে গিয়ে আরও বিপাকে রাজস্থানের রাজ্যপাল! রাষ্ট্রপতি নিলেন এই পদক্ষেপ]
তাই ওই সার্কুলারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিচারপতিরা হেঁটে এলে শুধু দাঁড়ালেই চলবে না, তফাতে সরে, হাঁটার জন্য রাস্তা ছেড়ে তাঁদের যথার্থ সম্মান দেওয়াও এলাহাবাদ হাইকোর্টের কর্মচারী-আধিকারিকদের জন্য বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে, সার্কুলার অবিলম্বে প্রত্যাহার না হলে দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের কর্মচারী-আধিকারিকদের একাংশ।
[আরও পড়ুন: পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারতীর ঢোকা বন্ধ করতে চায় রাজ্য! সুপ্রিম কোর্টে আবেদন]