তলোয়ার হাতে রাস্তায় নেমেছিলেন কেউ কেউ, ঠিক কী ঘটেছিল পাটিয়ালায়?
দুই সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল পঞ্জাবে। একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুক্রবার পঞ্জাবের পাতিয়ালায় সেই সংঘর্ষের আবহে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়েছে। বহু মানুষকে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি
দুই সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল পঞ্জাবে। একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুক্রবার পঞ্জাবের পাতিয়ালায় সেই সংঘর্ষের আবহে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়েছে। বহু মানুষকে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলেও পরিস্থিতি আয়ত্তে আসেনি।
পাথর ছোড়ার পাশাপাশি তলোয়ার বের করতেও দেখা যায় কাউকে কাউকে। আর এই ঘটনার জেরে কার্ফু জারি হয়েছে পাতিয়ালায়। এ দিন শিব সেনার কিছু স্থানীয় নেতার নেতৃত্বে খালিস্তান বিরোধী এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। আর মিছিল কিছুটা এগোনোর পরই সংঘর্ষ শুরু হয় পাতিয়ালার কালী মন্দিরের সামনে।
পঞ্জাবের শিব সেনা প্রেসিডেন্ট হরিশ সিংলার নেতৃত্বে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই মিছিলে কিছু শিখ সংগঠনের সদস্যের সঙ্গে শিব সেনা কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। বহু মানুষ ভিড়ের মধ্যে থেকে স্লোগান দিতে শুরু করে। খালিস্তান মুর্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকে তারা। শিখ সংগঠনের অনেকেই তরবারি হাতে রাস্তায় নেমে পড়ে।
আর দু পক্ষই পাথর ছুড়তে শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ইতিমধ্যে সেই ঘটনার একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ধারাল অস্ত্র হাতে রাস্তায় নেমেছেন বহু মানুষ। পরিস্থিতি কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। এমনকি লাঠিচার্জ করেও সামাল দেওয়া যায়নি।
ওই ঘটনার পর কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। বিভিন্ন জায়গাতে পুলিশ পিকেট তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ শূন্যে গুলি চালাতেও বাধ্য হয়। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সে রাজ্যের মুখমন্ত্রী ভগবৎ মানও। তিনি জানিয়েছেন, গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
রাজ্যে কোনও ধরণের অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নয়া মুখ্যমন্ত্রী জানান শান্তি এবং ঐক্য বজায় রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ঘটনার পরেই ১১ ঘন্টার কার্ফু জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট। সোশ্যাল মিডিয়ার উপরেও নজরদারি চালানো হয়েছে।
পাশাপাশি ঘটনায় ধরপাকড় শুরু হয়েছে পঞ্জাব পুলিশের তরফে। ঘটনায় এখনও পরন্ত ১০ জন শিবসেনা নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।