#MeToo-'অভিযুক্ত' কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফিরলেন দেশে! অভিযোগের জবাবে যা বললেন, দেখে নিন ভিডিও
যৌন হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেশে ফিরলেন। রবিবার সকালে আফ্রিকা সফর সেরে নয়া দিল্লিতে ফেরেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মন্ত্রিসভা থেক পদত্যাগের ব্যাপারে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন মোদী।
যৌন হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেশে ফিরলেন। রবিবার সকালে আফ্রিকা সফর সেরে নয়া দিল্লিতে ফেরেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মন্ত্রিসভা থেকে তাঁর পদত্যাগের ব্যাপারে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার সময় বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন নাইজেরিয়ায়। এই সপ্তাহের শুরুতে মি-টু নিয়ে শোরগোল শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমজে আকবরের বিরুদ্ধে যাঁরা যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগই সাংবাদিক। এমজে আকবর সেই সময় ছিলেন একটি পত্রিকার সম্পাদক। এবিষয়ে সর্বশেষ অভিযোগটি করেছেন আমেরিকার এক সাংবাদিক।
মহিলা সাংবাদিকের বয়ান অনুযায়ী, তিনি আকবরের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই হাত চেপে ধরে কাছে টেনে নিয়েছিলেন বর্তমান বিজেপি সরকারের এই মন্ত্রী। চুম্বন করেছিলেন। এমনকি বলপূর্বক তাঁর জিভটিও তাঁর( মহিলা সাংবাদিক) মুখে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন মাজলি দ্য পুয়ে কাম্প।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমজে আকবর বলেছেন, এবিষয়ে পরবর্তী সময়ে বিবৃতি দেবেন।
#WATCH Delhi:Union Minister MJ Akbar returns to India amid accusations of sexual harassment against him, says, "there will be a statement later on." pic.twitter.com/ozI0ARBSz4
— ANI (@ANI) October 14, 2018
বিজেপি সূত্রে খবর, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বেশিদিন মন্ত্রিসভায় রাখা নাও হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীই এবিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে।
এমজে আকবরকে নিয়ে বিজেপির অপর একটি মতও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের মত মন্ত্রী বিরুদ্ধে কোনও আইনি কেস নেই। আর যে সময়কার কথা বলা হচ্ছে তা মন্ত্রী হওয়ার অনেক আগেকার ঘটনা। সূত্রের খবর অনুযাযী, রাজ্য বিধানসভাগুলির নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে একমন্ত্রীকে ছাঁটাই করার মূল্য দিতে হতে পারে দলকে, এমনটাও মত প্রকাশ করেছেন বিজেপির কেউ কেউ।
যদিও, অনেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই যৌন হেনস্থা নিয়ে অভিযোগকারীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটওয়ালের মত, অভিযোগ প্রমাণিত হলে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত এমজে আকবরের। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী মেনকা গান্ধী এমজে আকবরের বিরুদ্ধে তদন্তের কথা বলেছেন।
অন্যদিকে, কংগ্রেস, সিপিএম, এআইএমআইএম-এর তরফে এমজে আকবরের ইস্তফার দাবি করা হয়েছে।