ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের, প্রধান বিচারপতি কবে নেবেন পরীক্ষা
ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের, প্রধান বিচারপতি কবে নেবেন পরীক্ষা
রাজ্যের ডিএ মামলা শুনতে রাজি হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। কিন্তু তারপরও স্বস্তি মিলল না। ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে দেল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। আগামী ৫ ডিসেম্বর সোমবার শীর্ষ আদালতে মহার্ঘ ভাতার শুনানি হবে। সোমবার ডিএ মামলার শুনানির কথা ছিল, তা আটদিন পিছিয়ে গেল।
কনফেডারেশেন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় এই শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার কথা জানান। সোমবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে। তা পিছিয়ে ৫ ডিসেম্বর চলে গেল। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ আশা করেছিল, এদিন সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলাটি ফিরবে হাইকোর্টে। এদিন সুপ্রিম কোর্টে কনফেডারেশেন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের পক্ষে কোর্টে আইনজীবী হিসেবে হাজির ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামিম।
সুপ্রিম কোর্টে সোমবার এই মামলা ওঠার কথা ছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি হৃষিকেষ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা উঠবে যখন চূড়ান্ত, বাদী-বিবাদী পক্ষ তৈরি সওয়াল-জবাবের জন্য। তখনই জানা গেল এই মামলা পিছিয়ে যাচ্ছে। তা শোনা হবে আটদিন পর ৫ ডিসেম্বর। অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার ডিএ মামলার শুনানি হবে।
মহার্ঘভাতা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। তা তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল গত সপ্তাহে। নির্ধারিত হয়েছিল সোমবার অর্থার ২৮ নভেম্বর এই মামলা শুনবেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তা তালিকাভুক্ত করলেও এদিন শুনানি হল না অজ্ঞাত কারণে।
রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী হুজেফা আহমেদি জানিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ্যভাতা বা ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তা রাজ্য সরকারের মৌলিক অধিকার, রাজ্যের দয়ার দান নয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে জানিয়েছিল, এই বকেয়া ডিএ মেটাতে গেলে অর্থকোষে বড়সড় প্রভাব পড়বে। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আশঙ্কা সত্যি হয়েছিল রাজ্যের এই পদক্ষেপে। সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি গড়াতে পারে, তা আন্দাজ করে তৈরিও হয়েছিলেন তাঁরা। এদিনই মামলাটি হাইকোর্টে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু তা পিছিয়ে যাওয়ায় সম্ভভ হল না হাইকোর্টে ডিএ মামলা ফেরানো।
রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার আবেদন করেছিল ৩ নভেম্বর। সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করার প্রায় তিন সপ্তাহের মাথায় তা তালিকাভুক্ত হয়। ২৮ নভেম্বর এই মামলার শুনানির কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গেল। ২০ মে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ডিএ না দেওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল। তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন মামলা দায়ের করে রাজ্যের বিরুদ্ধে।