উপ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য-কমিশন সংঘাত তুঙ্গে
কত কোম্পানি বাহিনী উপনির্বাচনে মোতায়েন করা হবে তা নিয়ে তুঙ্গে রাজ্য পুলিস সঙ্ঘাত।
কত কোম্পানি বাহিনী উপনির্বাচনে মোতায়েন করা হবে তা নিয়ে তুঙ্গে রাজ্য পুলিস সঙ্ঘাত। সোমবার পশ্চিমবঙ্গে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে (করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর সদর) উপনির্বাচন। এই তিন কেন্দ্রে ২০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করতে চাইছে নির্বাতন কমিশন। তার জন্য জঙ্গলমহল থেকে বাড়তি বাহিনী নিয়ে আসা হচ্ছে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তেই অসন্তুষ্ট রাজ্য সরকার। জঙ্গলমহল থেকে বাহিনী নিয়ে আসায় আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন।
উপনির্বাচনের দায়িত্বও রাজ্যপুলিসের হাতে িদতে নারাজ কমিশন। লোকসভা ভোটেও এই নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলেছিল। তিন কেন্দ্রে ৫ কোম্পানি করে মোট ১৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। পরে শুধু মাত্র করিমপুর কেন্দ্রের জন্য ১০ কোম্পানি বাড়তি বািহনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জঙ্গল মহল থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে সেই বাড়তি বাহিনী। তিনকেন্দ্রেই পুলিস পর্যবেক্ষকের তত্ত্বাবধানেই টহল দেবে বাহিনী। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকার।
তিন কেন্দ্রেই ত্রিমুখী লড়াই চলছে। বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেস মুখোমুখি টক্করদিলেও ভোট কাটাকাটির অঙ্কে পিছিয়ে থাকবে না কংগ্রেস সিপিএম জোট। কালিয়াগঞ্জে কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের প্রয়াণের কারণে উপনির্বাচন হচ্ছে. কাজেই গড় টিকিয়ে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস। অন্যদিকে করিমপুর নজরে রয়েছে তৃণমূলের। এই কেন্দ্রে আগে বিধায়ক ছিলেন মহুয়া মৈত্র। এখানেও তৃণমূল শক্তিশালী। অন্যদিতে খড়পুর কেন্দ্র টিকিয়ে রাখতে মরিয়া বিজেপি। এই কেন্দ্রে আগে বিধায়ক ছিলেন দিলীপ ঘোষ।
প্রতিবুথে কমিশনের বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পিছনে বিজেপির হাত দেখছে শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপির কথা শুনেই কমিশন বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বরাবরই বিজেপি ১০০ শতাংশ বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর দাবি জানিয়েছিল। সেই মতোই কাজ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। কালিয়াগঞ্জে মোট ২৭০টি, করিমপুরে মোট ২৬১টি, খড়গপুরে মোট ২৭০টি বুথ রয়েছে।