কেরলে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হল পাঁচ বেড়ালের, ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে মৃতদেহের নমুনা
কেরলে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হল পাঁচ বেড়ালের, ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে মৃতদেহের নমুনা
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবার আর মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, তা ছড়িয়ে পড়ছে পশুদের মধ্যেও। নিউইয়র্কের বাঘ ও ব্রাজিলের বেড়ালের পর এবার কেরলে রাস্তার পাঁচ বেড়ালের মৃত্যু হল করোনা ভাইরাসে। তারা প্রত্যেকেই হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে ছিল। তাদের মৃত্যুর পর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ–প্রত্যঙ্গগুলি পরীক্ষার জন্য তিরুবন্তপুরমে পাঠানো হয়েছে।
কোভিড–১৯-এর চিহ্ন মেলেনি
বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে জানানো হয়েছে যে প্রাথমিক ময়নাতদন্তের পর বেড়ালের শরীরে কোনও কোভিড-১৯-এর কোনও চিহ্ন মেলেনি এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে বিড়ালগুলিকে ধরার পর তাদের বাক্সে রেখে দেওয়া হয়েছিল ও সেখান থেকে মানসিক চাপে তাদের মৃত্যু হতে পারে। রাজ্যের পশু পালন বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরীক্ষার জন্য তিরুবন্তপুরমের রাজ্যের ইনস্টিটিউট অফ অ্যানিমাল ডিজিস কেন্দ্রে পাঠানো হবে। মৃত বেড়ালদের মধ্যে দু'টি পুরুষ একটি মহিলা ও তার দুই সন্তান ছিল।
আরও পরীক্ষার জন্য বেড়ালের অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ পাঠানো হবে ল্যাবে
মৃত বেড়ালদের ময়নাতদন্ত যিনি করেছেন ডাঃ টিটো জোসেফ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বেড়ালগুলিকে কোভিড ওয়ার্ডে পাওয়া গিয়েছিল, ময়নাতদন্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ পাওয়া যায়নি। বেড়ালগুলির অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরীক্ষার জন্য তিরুবন্তপুরমে পাঠানো হবে।' তিনি আরও জানান যে প্রয়োজনে সেগুলি ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজিস ল্যাবে পাঠানো হবে।
মানসিক চাপেই মৃত্যু পাঁচ বেড়ালের
অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা কালেক্টরের নির্দেশের পরে পশুপালন দফতরে নিযুক্ত কুকুর ছিনতাইকারীদের হাতে ধরা পড়ার আগে ২৮ মার্চ কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে এই বিড়ালগুলিকে ধরা হয়, এখানে বিড়ালগুলি ঘোরাফেরা করছিল। তাদের অল্প বাতাস রয়েছে এমন বাক্সে রাখা হয়েছিল। কাসারাগোডের পশু জন্ম নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রে এদের রাখার দু'দিনের মধ্যে মহিলা বেড়ালটি মারা যায়। পরে দু'টি বেড়াল ও বেড়াল ছানাগুলির মৃত্যু হয়। থমাস জানিয়েছেন যে বিড়ালদের দুধ সহ অন্যান্য খাবার দেওয়া হয়েছিল। জোসেফ সহ বিশেষজ্ঞদের মতে মানসিক চাপেই বেড়ালগুলির মৃত্যু হয়েছে। জোসেফ বলেন, ‘ইতস্ততঃ ঘুরে বেড়ানো বেড়ালগুলিকে সঙ্গে সঙ্গে বাক্সে ভরা হয়। তবে মনে করা হচ্ছে বাক্সে ভরে দেওয়ার কারণে সেই পরিস্থিতিটাকে মানিয়ে নিতে পারেনি তারা। তাই মানসিক চাপই বেড়ালদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।' ময়নাতদন্ত পরিচালিত চিকিৎসকদের দলের অংশে পশুপালন বিভাগের এপিডেমিওলজিস্ট এম জে সেতুলক্ষ্মী বলেছেন, ‘প্রক্রিয়া চলাকালীন কোভিড-১৯ এর কোনও চিহ্নই সনাক্ত করা যায়নি।'