অনলাইনে ট্রেনের বুকিং শুরু, জেনে নিন কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে যাত্রীদের
অনলাইনে ট্রেনের বুকিং শুরু, জেনে নিন কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে যাত্রীদের
মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলেছে ভারতীয় রেল পরিষেবা। করোনা সংক্রমণ রুখতে রেল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। তা প্রায় ৫১ দিন পর খুলল। সোমবার বিকেল চারটে থেকেই রির্জারভেশনের জন্য টিকিট বুকিং শুরু করে দেওয়া হয়েছে। ১৫ জোড়া আপ–ডাউন ট্রেন চালাবে বলে রবিবারই জাতীয় পরিবহনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।
খুব কম সংখ্যায় ট্রেন পরিষেবা শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহেই ভারত তৃতীয় দফার লকডাউনে প্রবেশ করেছে। যদিও দেশে কোভিড–১৯ কেস প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে কিন্তু তাও সরকার কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে এই লকডাউনের মধ্যেই।
কোথা থেকে বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি ছাড়বে
দিল্লি থেকে এই বিশেষ ট্রেনগুলি ছাড়বে এবং মুম্বই, সেকেন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, হাওড়া, তিরুবন্তপুরম, পাটনা, জম্মু, ডিব্রুগড়, আগরতলা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর ও মাদগাঁও যাবে।
টিকিট বুকিং
১১ মে বিকেল ৪টে থেকে টিকিট বুকিং শুরু হবে এবং একমাত্র আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটেই তা পাওয়া যাবে। টিকিট বুকিং কাউন্টার স্টেশনগুলিতে বধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে এবং কোনও কাউন্টারে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।
সাতদিন আগে আগাম রিজার্ভেশন করা যাবে। তবে কোনও আরএসি বা ওয়েটিং লিস্ট টিকিটের ব্যবস্থা নেই। এমনকি টিকিট চেকিং কর্মীর কাছ থেকেও ট্রেনে উঠে টিকিট কেনা যাবে না।
টিকিট বাতিলের নিয়ম
ট্রেনের নির্দিষ্ট সময়ের ২৪ ঘণ্টা আগে টিকিট বাতিল করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ভাড়ার ৫০ শতাংশ ফেরত পাবেন যাত্রী।
ট্রেন পুরো ভর্তি করে কি চালানো হবে
শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে একমাত্র ৫৪ জন করে যাত্রী যেতে পারবেন ৭২ জনের পরিবর্তে। এছাড়া সব ট্রেনই যাত্রীভর্তি নিয়েই চালানো হবে, কিন্তু টিকিট ভাড়ায় কোনও ছাড় পাওয়া যাবে না।
ট্রেনে ক্যাটারিং পরিষেবা মিলবে?
টিকিট ভাড়ার সঙ্গে ক্যাটারিং পরিষেবার ভাড়া নেওয়া হবে না এবং প্রি-পেইড মিল বুকিং, ই-ক্যাটারিং পরিষেবা কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করে রাখা হয়েছে। যদিও আইআরসিটিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে সীমিত খাবার ও পানীয় জল অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যাবে। টিকিট বুকিংয়ের সময় যাত্রীকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
কম্বল দেওয়া হবে কি?
ট্রেনে কম্বল বা চাদর দেওয়া হবে না।
যাত্রীদের কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে?
ট্রেন ছাড়ার একঘণ্টা আগে যাত্রীদের স্টেশনে আসতে হবে। প্রাথমিকভাবে, সমস্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিষেবা ১৫ টি রাজধানী রুটে শুরু হবে এবং দ্রুতগতির ট্রেনের মতোই ভাড়াটিও অনেক বেশি হবে। টিকিটের মধ্যেই যাত্রীদের কি করতে হবে ও কি করতে হবে না তা উল্লেখ করা থাকবে। স্ক্রিনিং ও অন্যান্য করোনা ভাইরাস নিয়ম পালনের জন্য একঘণ্টা আগেই যাত্রীদের স্টেশনে আসতে হবে। মাস্ক ও আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।
দুই গ্রামের সংঘর্ষ করোনায়! জারি ১৪৪ ধারা, মমতাকে কড়া নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল