রাহুলের প্রস্তাব ফেরালেন ‘বন্ধু’ স্ট্যালিন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেও জায়গা ছাড়তে অরাজি
রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। তাঁকে ফেল রাজ্যসভায় পাঠাতে ডিএমকে-র দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস।
রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। তাঁকে ফেল রাজ্যসভায় পাঠাতে ডিএমকে-র দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু কার্যত সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিন। রাহুল গান্ধীকে এ ব্যাপারে ব্যর্থ মনোরথ হতে হল স্ট্যালিনের সিদ্ধান্তে। ফলে মনমোহন সিংয়ের রাজ্যসভায় যাওয়া এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ডিএমকে-র দ্বারস্থ, ব্যর্থ
কংগ্রেস প্রয়োজনীয় বিধায়ক সংখ্যার অভাবে জোট শরিক ডিএমকে-র দ্বারস্থ হন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তামিলনাড়ুতে ডিএমকে সাড়া পেলেন না তিনি। তামিলনাড়ুর তিনটি আসনের একটি থেকেও মনমোহন সিংয়ের প্রার্থী হওয়া এখন অনিশ্চিত। রাহুল গান্ধীর প্রস্তাব পাওয়ার পর স্ট্যালিন রাজি হননি, তার কারণ আগেই তিনি নিশ্চিত করে ফেলেছেন কে প্রার্থী হবেন।
ডিএমকে-র তিন পদ পূরণ
ডিএমকে ইতোমধ্যে এমডিএমকে-র প্রধান ভাইকোর জন্য বরাদ্দ করেছেন একটি পদ। বাকি দুটি পদ তিনি ডিএমকের জন্য রাখতে চান। ডিএমকে ট্রেড ইউনিয়ন নেতা এম শংমুগম এবং প্রবীণ আইনজীবী পি উইলসনকে তিনি ইতিমধ্যে প্রার্থী হিসাবে স্থির করে ফেলেছেন। তাই মনমোহনের জন্য একটি পদ ছাড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে স্ট্যালিনের পক্ষে।
মনমোহনের রাজ্যসভা ভবিষ্যৎ
গতবার মনমোহন সিংকে অসম থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এ বার অসমে কংগ্রেসের ভরাডুবির ফলে রাজ্যসভায় প্রার্থী দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যা নেই। মনমোহন সিংয়ের জায়গায় রাজ্যসভার সংসদ পাঠাচ্ছে বিজেপি। ইতিমধ্যে রাজসভার ৬ আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচন হবে ১৮ জুলাই। এখন মনমোহন সিং ফের রাজ্যসভায় যেতে পারেন কি না, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: গেহলটের অনুরোধে লাভ হল না, পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অনড় রাহুল গান্ধী]
[আরও পড়ুন:বিজেপিকে ভেঙে তৃণমূলকে অক্সিজেন দিলেন অনুব্রত! যোগদান ১৬০০ নেতা কর্মীর]