বাতিল হচ্ছে নয়া ২০০০ টাকার নোটও? নতুন রিপোর্টে শুরু জল্পনা
হিসাব বহির্ভূত আয় লকোনোর এক বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে নতুন ২০০০ টাকার নোট। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সরকারি নথিতে। আয়কর বিভাগের সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে চলতি আর্থিক বর্ষে বাজেয়াপ্ত হওয়া হিসাব বহির্ভূত আয়ের পরিমাণের ৬০ শতাংশেরও বেশি অর্থ ২০০০ টাকার নোটের রূপে ছিল।
কী বলছে হিসেব?
২০১৯-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত মোট ৩,২৯১ মিলিয়ন ২ হাজার টাকার নোট বাজারে রয়েছে। যার মূল্য ৬,৫৮২ বিলিয়ন টাকা। সংখ্যার নিরিখে এই ২০০০ টাকার নোটগুলি ভারতীয় মূদ্রার মাত্র ৩ শতাংশ। তবে মূল্যায়ণের নিরিখে এট ভারতের অর্থনীতির ৩১.২ শতাংশ।
রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রীর জবাব
রাজ্যসভায় হিসাব বহির্ভূত আয় সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানান, পাঁচ কোটি টাকার বেশি অর্থ যত জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে দেখা গিয়েছে সেখানে ২০০০ টাকার নোটের রূপে ৬৭.৯১ শতাংশ টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এই পরিসংখ্যানটি ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষের। পরবর্তী দুই বছরে এই সংখ্যাটি কম হলেও অনেকটাই। ২০১৮-২৯ আর্থিক বর্ষে মোট বাজেয়াপ্ত টাকার ৬৫.৯৩ শতাংশ ২০০০ টাকার নোট, চলতি আর্থিক বর্ষে এখনও পর্যন্ত এটি ৪৩.২২ শতাংশ।
২০০০ টাকার নোট বাতিলের পক্ষে সওয়াল প্রাক্তন অর্থ সচিবের
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর সেই সময়ের ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। এরপর ২০০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ে সরকার। তবে নোট বাতিলের ৩ বছর পূর্ণ হতেই বিরোধীরা এই বিষয়ে সরব হতে থাকেন। এই সুর আরও চড়ে যখন প্রাক্তন অর্থনৈতিক সচিব এসসি গর্গ এই বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "বিপুল সংখ্যার ২০০০ টাকার নোট আসলে বাজারে নেই। সেগুলিকে গোপনে মজুত করে রাখআ হয়েছে।" এরপর তিনি ২০০০ টাকার নোট বাতিলের পক্ষে সওয়াল করেন।
আয়কর আইনে বদল
এদিকে ২০০০ টাকার নোট মজুত করে রাখার বিষয়টি সামনে আসতেই সরকারের তরফে ২০০০ টাকার নোট ছাপা কমানো হয়েছে। এর জেরে অনুমান করা হচ্ছে যে হয়ত ২০০০ টাকার নোট বাতিল করতে চলেছে সরকার। এরই মাঝে ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্ট, ১৯৬১-তে বেশ কিছু বদল এনেছে সরকার। যেই সব ব্যবসার লেনদেন ৫০ কোটির বেশি তাদের ক্ষেত্রে ই-ট্রান্সফার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া কোনও ধর্মীয় সংগঠনকে নগদে দান করার মূল্য ১০ হাজার থেকে কমিয়ে ২ হাজার করা হয়েছে।