এবার কি একদেশ, এক নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পদক্ষেপ ঘিরে শুরু জল্পনা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একদেশ এক নির্বাচনের আওয়াজ তুলেছিলেন তাঁর প্রথম দফার প্রধানমন্ত্রীত্বে। এবার যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কেননা সাম্প্রতিক পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে লোকসভা, রাজ্য বিধানসভা এবং স্থানীয় নির্বাচনের জন্য একটি সাধারণ ভোটার তালিকা তৈরি করা যায় কিনা তা নিয়ে বৈঠক সেরে ফেলেছে।
বামেদের ভাবমূর্তিই তৃণমূলের হাতিয়ার! পিকের টিমকে 'ঘাড়ে ধাক্কা' রাজ্যের প্রাক্তন ক্যাবিনেটমন্ত্রীর

পিএমও-র বৈঠক ১৩ অগাস্ট
এক সর্ব ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই ধরনের একটি বৈঠত হয়েছে ১৩ অগাস্ট। সেখানে দুটি বড় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত সংবিধানের ২৪৩কে এবং ২৪৩জেডএ ধারা সংশোধনের প্রস্তুতি, যেখানে বলা হয়েছে, সারা দেশে একটিই নির্বাচনের কথা। আর দ্বিতীয়ত, রাজ্য সরকারগুলিকে বলা নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ভোটার তালিকাই পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যবহার করা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যাঁরা
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রধান সচিব পিকে মিশ্র।

এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে জল্পনা
এই বৈঠকের সব থেকে বড় দিক গল, একটি সাধারণ ভোটার তালিকার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা। যার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে এক দেশ এক নির্বাচনের কথা। এই ধারণায় একটি নির্বাচনের মাধ্যমে রাজ্য বিধানসভা, লোকসভা এবং পঞ্চায়েতগুলির নির্বাচন হয়ে যাবে ৫ বছরের জন্য। বিষয়টি নিয়ে নিজের প্রথম দফার প্রধানমন্ত্রীত্বে আওয়াজ তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতিতেও কমন ইলেকটোরাল রোলের কথা বলেছিল বিজেপি।

বাঁচাবে সময়, অর্থ
বিজেপির প্রতিশ্রুতিতে বেশির ভাগ বিরোধীরা বিরোধিতা করলেও অনেক কমিটি এবং সংস্থার তরফে বলা গয়েছে, এই প্রক্রিয়া শুরু করতে পারলে ভারতের মতো দেশে সময়, অর্থ, শক্তি বাঁচবে। যদিও এই মুহুর্তে কেন্দ্রে কিংবা রাজ্যগুলিতে বিজেপির যা শক্তি তাতে ব্যাপক ঐক্যমত গড়ে তোলা বিজেপি পক্ষে সম্ভবপর নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।