নির্ভয়ার ধর্ষকদের জন্য ফাঁসির দড়ির প্রস্তুতি চলছে! বিহারের জেলকে কোন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও তারপর তাঁকে পুড়িয়ে হত্যার মতো নৃশংসকাণ্ড ঘিরে গোটা দেশ সমালোচনায় মুখরিত ছিল। এই ঘটনার পর তেলাঙ্গানা পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ৪ অভিযুক্তের। তেলাঙ্গানার ঘটনা বারবার উস্কে দিয়েছে ২০১২ সালের দিল্লি গণধর্ষণকান্ডের ঘটনা। যে নারকীয় যৌন অত্যাচার ও খুনের ঘটনার মামলা এখনও চলছে আদালতে। আর সেই ঘটনা নিয়ে এবার কেন্দ্রের রেকমেন্ডেসন পৌঁছে গিয়েছে স্বয়ং রাষ্ট্রপতির কাছে। এমন পরিস্থিতিতে বিহারের বক্সার জেলে বেশ কয়েকটি ঘটনার ক্রম পর্যায় ঘিরে ফাঁসির প্রস্তুতির জল্পনা ও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
ফাঁসির দড়ি প্রস্তুতির কাজ তুঙ্গে
জানা গিয়েছে , বিহারের বক্সার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশ এসেছে সেখানে চলতি সপ্তাহের মধ্যে যেন ১০ টি ফাঁসির দড়ি প্রস্তত করে রাখা হয়। আর সেই ফাঁসির দড়ি প্রস্তুতি নিয়েই জল্পনা চরমে উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে ,তাহলে কি এই জেলেই নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের শাস্তি দেওয়ার প্রস্তুতি গোপনে সম্পন্ন করা হচ্ছে!
ডিসেম্বর ১৪ তারিখের মধ্যে প্রস্তুতি রাখতে হবে
জেলের তরফে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বর ১৪ তারিখের মধ্যে ফাঁসির দড়ি প্রস্তুত করে রাখার নির্দেশ এসেছে 'প্রিজন ডিরেক্টরেট' থেকে। প্রসঙ্গত, বক্সারের ইতিহাস বলে, এই এলাকা এর আগে বহুবার ফাঁসির দড়ি তৈরি করেছে। আর সেই কারণে এলাকার নামও রেয়েছে।
হাই প্রোফাইল ঘটনায় ব্যবহার হয়েছে ফাঁসির দড়ি
প্রসঙ্গত , এর আগে সংসদ হামলার মূলচক্রী আফজাল গুরুর ফাঁসির দড়ি এই জেল থেকেই গিয়েছিল। এরপর ২০১৬-১৭ সালে পাঞ্জাবের পাটিয়ালা জেলেও যায় বিহারের বক্সারের ফাঁসির দড়ি। তবে জেল কর্তৃপক্ষ সেবার জানতে পারেনি কোন কাজে এই দড়ি পাটিয়ালা জেলে যায়।
নির্ভয়া কাণ্ড ঘিরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তোড়জোড় শুরু
এর আগে ,গত সপ্তাহেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাষ্ট্রপতির কাছে একটি রোকমেন্ডেশনে জানিয়ে দেয় যে নির্ভয়ার দোষীদের যেন ক্ষমা ভিক্ষা না দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ঘটনার অন্যতম দোষী সাব্যস্ত হওয়া বিনয় কুমারের তরফে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রথমে একটি ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন যায়। পরে বিনয় জানিয়ে দেয়, যে সে এই আবেদনের বিষয়ে কিছুই জানত না। ফলে গণধর্ষণকাণ্ডে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন সে ফিরিয়ে নিতে চায়।