পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ, আপাতত থাকবেন পুলিশ হেফাজতে
পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত শনিবার এই ঘোষণা করে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় জেলে যেতে হল লালুপ্রসাদ যাদবকে। ৩ জানুয়ারি শাস্তির মেয়াদ ঘোষণা।
পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত শনিবার এই ঘোষণা করে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় জেলে যেতে হল লালুপ্রসাদ যাদব। ৩ জানুয়ারি শাস্তির মেয়াদ ঘোষণা করা হবে। যদি এই মামলা থেকে মুক্ত করা হয়েছে আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র-সহ ৬ জনকে।
রায়দানের আগে শনিবার সকালে ছেলে তেজস্বীকে নিয়ে রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালতে যান লালুপ্রসাদ যাদব। এ রাজা এবং কানিমোঝির মতো তিনিও অভিযুক্ত মুক্ত হবেন বলে দাবি করেছিলেন লালু। বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর আস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৪০৯, ৪১৮, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭৭(এ), ২০১ ও ৫১১ এবং দুর্নীতি দমন আইনের ১৩(১) ডি ও ১৩(২) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। গত ১৩ ডিসেম্বর এই মামলার রায় স্থগিত রাখে আদালত।
১৯৯১ থেকে ১৯৯৪-এর মধ্যে পশুখাদ্যের নামে দেওঘরের কোষাগার থেকে ৮৯ লক্ষেরও বেশি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। লালুপ্রসাদ যাদব, জগন্নাথ মিশ্র ছাড়াও এই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন প্রাক্তন সাংসদ আরকে রানা, বিহারের প্রার্তন মন্ত্রী বিদ্যাসাগর নিষাদ, পিএসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান জগদীশ শর্মা ও ধ্রুব ভগত।
পশুখাদ্য মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার জেরে লোকসভার সদস্য পদ খোয়াতে হয় লালুকে। এমন কী ভোটে দাঁড়ানো থেকেও বিরত থাকতে হয় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে।
১৯৯৭ সালের ২৭ অক্টোবর ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিবিআই। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, অপর একটি দুর্নীতির মামলায় লালু কন্যা মিসা ভারতী এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে ইডি।
দিন কয়েক আগে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত টুজি কেলেঙ্কারিতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ রাজা, কানিমোঝি-সহ ১৭ জন বেকসুর খালাস পাওয়ায় স্বস্তি পায় কংগ্রেস। একইভাবে শুক্রবার আদর্শ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়ে পড়া মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চৌহানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। আবারও স্বস্তি মেলে কংগ্রেস শিবিরে। যদিও এক্ষেত্রে স্বস্তি পেলেন না লালু যাদব।