মোদীর জন্য বিশেষ বিমান! চুক্তি নিয়ে সিএজি প্রশ্ন তুলেছিল ইউপিএ আমলে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য দুটি একেবারে নতুন বিমান আসতে চলেছে। আগামী বছর জুনেই তা চলে আসবে বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য দুটি একেবারে নতুন বিমান আসতে চলেছে। আগামী বছর জুনেই তা চলে আসবে বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে। দেশে আনার পর বিমানগুলিকে এয়ার ইন্ডিয়া নয়, ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের অধীনে রাখা হতে পারে। এমনটাই চিন্তাভাবনা চলছে সরকারি পর্যায়ে। বিশেষ মিসাইল রোধী দুটি বোয়িং ৭৭৭ বিমান ভারতে আসবে ২০২০-র জুন নাগাদ। ওই বিমান হাতে এলে, মোদী আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মতোই নিরাপত্তা পাবেন। বর্তমানে বোয়িং ৭৪৭-২০০বি বিমান ব্যবহার করে থাকেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এই দুটি বিমান হাতে এলে, তা প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ব্যবহার করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতিও। বর্তমানে বিদেশ সফরের সময় এয়ার ইন্ডিয়া থেকে বিমান নিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি কিংবা উপরাষ্ট্রপতি। ছোট কোনও গন্তব্যের ক্ষেত্রে তাঁরা সাধারণত ভারতী বিমান বাহিনীর ছোট ভিভিআইপি বিমান ব্যবহার করে থাকেন।
এই এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান বিমান শত্রুপক্ষের র্যাডার বিকল করে দেবে। মিসাইলের গতিপথও বদল করে দেবে। বিমানের সতর্কতা এবং কাউন্টারমেজার সিস্টেমগুলির জন্য বিমান চালককে কোনও পদক্ষেপ নিতে হবে না। প্রয়োজন মতো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেটি কাজ করতে শুরু করে দেবে। বিমান দুটিতে থাকবে বিশেষ কনফিগারেশন। অফিস স্পেশ ছাড়াও মিটিং রুমও থাকবে সেখানে। থাকবে বিশেষ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যেভাবে এয়ার ফোর্স ওয়ান ব্যবহার করেন, ঠিক তেমনই এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান বিমানে থাকবে সেল্ফ প্রোটেকশন সুইট(এসপিএস)। এই এসপিএস সুরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এটিতে বড় আকারের এয়ারক্রাফ্ট ইনফ্রারেড কাউন্টারমেজার্স, ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্সিভ ইনেকট্রনিক ওয়ারফেরার স্যুট এবং কাউন্টার অ্যাপ্রেসেস ডিসপেন্সিং সিস্টেংম থাকবে।
তবে এই বিমান দুটিকে এয়ার ইন্ডিয়ার অধীনে নয়, থাকতে পারে ভারতীয় বায়ুসেনার অধীনে। তবে এব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০০৫ সালে দীর্ঘ মেয়াদি ভিত্তিতে বোয়িং থেকে ৬৮ টি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তারই অঙ্গ এই দুই বিমান। ২০১১ সালে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল এই চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। বলেছিল দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তিতে আর্থিক বোঝা বেড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার ওপর।