' ভালো ইংরেজি বললে আর দেখতে সুন্দর হলেই চলেনা', সচিনকে খোঁচা অশোকের
রাজস্থানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই টালমাটাল পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
রাজস্থানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই টালমাটাল পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। অশোক বনাম সচিন যুদ্ধে কংগ্রেসের ঘরে বড় ভাঙন যেমন দেখা দিয়েছে, তেমনই হাত শিবিরের রাজনীতিতে যুব বনাম বর্ষীয়ান যুদ্ধে কংগ্রেস হাইকমান্ডের ব্যর্থতাও প্রকট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সচিন পাইলটকে নিয়ে ক্ষোভের আঁচ ব্যক্তিগত স্তরে নিয়ে গেলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
সচিনকে তোপ
সচিন পাইলট সম্পর্কে মুখ খুলেই অশোক গেহলট বলেন, সচিন ভালো কাজ করতে পারতেন, যদি ' কম বয়সে জীবনযুদ্ধের' মধ্যে দিয়ে তিনি যেতেন। এইভাবেই তিনি দেশের সেবা করতে পারতেন। উল্লেখ্য, তাবড় রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান সচিন পাইলট। তাঁর বাবা রাজেশ ছিলেন কংগ্রেসের দুঁদে নেতা। দুর্ঘটনায় রাজেশ পাইলটের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত রাজেশ পাইলট ও অশোক গেহলট রাজস্থান কংগ্রেসে প্রাসঙ্গিক সমীকরণ ধরে রেখেছিলেন।
'রাজনীতিতে আমি ৪০ বছর আছি..'
এরপর অশোক গেহলট বলেন, 'রাজনীতিতে আমি ৪০ বছর আছি। আমরা নতুন জেনারেশন পছন্দ করি। ভবিষ্যৎ তাঁদেরই জন্য।' এরপরই অশোকের দাবি, কম বয়সে রাজনীতিতে অনেকেই অনেক কিথু পেয়এছেন। কেউ অল্প বয়সে পার্টির রাজ্য প্রেসিডেন্ট হয়েছেন কেউ বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। গেহলট বলেন, 'যদি এঁরা আমাদের মতো যুদ্ধ করতেন. , তাহলে বুঝতেন..'। উল্লেখ্য, সচিন পাইলট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন আবার রাজস্থানের কংগ্রেসের প্রধানের পদেও ছিলেন।
' ভালো ইংরেজি..'
' ফরফর করে ভালো ইংরেজি বললে, আর ভালো ভালো বাইট দিলে, আর হ্যান্ডসম দেখতে হওয়াটাই বড় ব্যাপার নয়। দেশের জন্য আপনার মনের মধ্যে কী রয়েছে, কী আদর্শ রয়েছে, কী নীতি রয়েছে, আর আপনি কতচা বদ্ধ পরিকর, সব কিছু দেখা হয়..। ' এমনই বক্তব্য অশোক গেহলটের। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের ছাত্র সচিন পাইলটকে তিনি এভাবেই চোপ দাগেন।
ঘোড়া কেনাবেচায় সচিন!
অশোক গেহলটের দাবি, রাজস্থানে ঘোড়া কেনাবেচা হয়েছে। আর বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই তা হয়েছে বলে দাবি অশোকের। আর তাতে সচিন পাইলট সোজাসুজি জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছেন অশোক। যদিও সচিন পাইলটের নাম অশোক গেহলট নেননি। তবে 'প্রাক্তন রাজ্য কংগ্রেস প্রধান' বলে তিনি এদিন সচিনকে উল্লেখ করেন।
চিন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের বলি হংকং! ট্রাম্পের এক সইয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে