কী করলে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলা যেতে পারে, সাফ জানাল আইন কমিশন
সরকার বা প্রশাসনের বিরোধিতা করা মানেই কেউ রাষ্ট্রদ্রোহী এমনটা নয়।
সরকার বা প্রশাসনের বিরোধিতা করা মানেই কেউ রাষ্ট্রদ্রোহী এমনটা নয়। গণতন্ত্রে সকলে নিজের মতো করে মত প্রকাশ করবেন। কেউ সরকারি নীতি না মেনে তার বিরুদ্ধাচরণ করছেন মানেই এটা নয় যে তাকে দেশদ্রোহী তকমা এঁটে দেওয়া হবে। এমনটাই সাফ জানিয়েছে আইন কমিশন।
রাষ্ট্রদ্রোহিতা (১২৪এ ধারা) নিয়ে মতামত দিতে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে মত দিয়েছে কমিশন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিএস চৌহানের নেতৃত্বে আইন কমিশন জানিয়েছে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার কঠিন ধারা শুধুমাত্র সেই ধরনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত যেখানে সেই কাজের পিছনে মূল উদ্দেশ্য হল সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা ও অবৈধ উপায়ে হিংসার পরিবেশ তৈরি করে সমাজকে উত্তপ্ত করে তোলা বা সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা।
আইন কমিশন চাইছে এই প্রসঙ্গে, আইন বিশেষজ্ঞ, আইন নির্মাতা, সরকার, বেসরকারি সংগঠন, শিক্ষাবিদ, ছাত্র ও সবার ঊর্ধ্বে আমজনতার মতামত নেওয়া হোক। যাতে সকলের মত বুঝে নেওয়া যায়।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে আইন কমিশনের ব্যাখ্যা, সকলকে একই সুরে গান গাইতে হবে তা নয়। দেশের প্রতি ভক্তি দেখাতে গিয়ে কেউ সরকারি নীতির সমালোচনা করতেই পারেন যাতে তা সরকারের চোখ খুলে দেয়। হতে পারে তা বেশ কড়া সমালোচনা হল। তার মানেই তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়।
যেমন কেউ জাতিবিদ্বেষমূলক কথা বলছেন, কেউ বলছেন এদেশে মহিলারা সুরক্ষিত নয়, বা কেউ দেশকে নিয়ে কটূ কথা বলছেন। তার মানে এই নয় তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমতুল্য ভেবে ফেলতে হবে। দেশ বা রাষ্ট্রযন্ত্র যদি ইতিবাচক সমালোচনা শুনতে রাজি না থাকে তাহলে স্বাধীন ভারত ও পরাধীন ভারতের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? প্রশ্ন করেছে আইন কমিশন।