রাহুলের গান্ধীগিরিকে সমর্থন করছেন না অধ্যক্ষ, বেটা সম্বোধনেও মর্যাদা বজায় রাখার বার্তা
রাহুল গান্ধীর গান্ধীগিরিকে সমর্থন করছেন না লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নিয়ে লোকসভায় আক্রমণের পর আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধীর গান্ধীগিরিকে সমর্থন করছেন না লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নিয়ে লোকসভায় আক্রমণের পর আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধী। তারপর ভাষণ শেষ করেই মোদীকে আলিঙ্গন করে গান্ধীগিরি দেখিয়েছেন। রাহুলের যে সৌজন্যের বার্তা দিয়েছেন তাতে গোটা সংসদে প্রত্যেকের মুখে হাসি এনে দিলেও তা সংসদের নীতির পরিপন্থী বলে বর্ণনা করেছেন অধ্যক্ষ।
এদিন লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন বলেন, রাহুল গান্ধীর এমন আচরণ সংসদে চলতে পারে না। রাহুল গান্ধীকে তিনি নিজের ছেলের মতো বলে মন্তব্য করে বলেন, রাহুল গান্ধী সৌজন্যের যে নিদর্শন রেখেছেন, তা সংসদের পরিপন্থী। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর আলিঙ্গন করা ঠিক হয়নি। এটা সভার রীতির বিরোধী। সংসদের একটা ডেকোরাম আছে, এই আচরণে তা লঙ্ঘিত হয়েছে।
রাহুল গান্ধী এদিন শুধু প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়েই ধরেননি, রাহুল নিজের আসনে ফিরে গিয়ে চোখ মারেন, সেটাও সংসদের মর্যাদা-বিরোধী। সংসদের রীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সংসদের সম্মান ও গরিমা রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদেরও সম্মান ও গরিমা রয়েছে। তা মেনে চলা উচিত।
এরপরই তিনি বলেন, সংসদের প্রতি ভালোবাসা থাকুক, সাংসদরা নিজেরে সম্মান বজায় রাখুন, সবাই আমার কাছে সমান। কেউ আমার শত্রু নন। রাহুলকে নিজের ছেলের মতোই মনে করেন বলেও তিনি মনে করেন। এদিন রাহুলের আচরণ শোভনীয় হলেও সংসদের রীতির বিরোধী বলেই মত সুমিত্রা মহাজনের।
রাহুল গান্ধী এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিক পাপ্পু কটাক্ষের জবাবে ঝাপ্পির বার্তা দিয়ে বলেন, আপনাদের ঘৃণা আমি ভালোবাসায় বদলে দেব। আমি আপনাদেরও ভালোবাসব। এরপরেই রাহুল নিজের জায়গা ছেড়ে মোদীর কাছে গিয়ে তাঁকে আলিঙ্গন করেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে রাহুল এদিন সংসদ মাত করে দেন।
Yeh samajh lo ki sadan ki garima humein hi rakhni rahi, koi bahar ka aakar nahi rakehega.Humein apni garima bhi rakhni hai as a parliament member. Mein chahti hun ki tum sab log prem se raho. Mere dushman nahi hain, Rahul ji, bete jaise hi lagte hain: Sumitra Mahajan, LS speaker pic.twitter.com/9g92d9fkrw
— ANI (@ANI) July 20, 2018
স্পিকার রাহুল গান্ধীর এই আচরণের সঙ্গে সঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রাহুল গান্ধীর আচরণের সমালোচনা করায় বিরোধীরাও উল্টে স্পিকারের সমালোচনা করেন। তিনি দেড় ঘণ্টা পরে কেন রাহুল সৌজন্য নিয়ে সতর্ক করলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন বিরোধীরা।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের চাপ বাড়িয়ে এল ফরাসী বিবৃতি, রাহুল যদিও অভিযোগে অনড়]
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরী রাহুলের সৌজন্যের রাজনীতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীরা সমালোচনা করে বলেন, কেন দেড়ঘণ্টা পরে স্পিকার রাহুল গান্ধীকে সতর্ক করলেন। তাহলে কি কারও দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে লোকসভার স্পিকারষ এই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন:রাহুলকে ঠেকাতে শিখ-দাঙ্গা প্রসঙ্গ টানলেন রাজনাথ, বিক্ষুব্ধদের দিলেন সমঝোতার বার্তা]