‘পিসি’কে আসনরফার সূত্র দিয়ে জোটের বার্তা, ‘মিশন ২০১৯’-এর ‘ভিশন’ তৈরি অখিলেশের
নরেন্দ্র মোদীর বিজেপিকে রুখতে ‘মিশন ২০১৯’-এর ‘ভিশন’ তৈরি করে ফেললেন অখিলেশ। এবার পিসি-ভাইপোর জুটি হচ্ছেই। কোনও অবস্থাতেই তাঁদের আসনরফা বিপত্তি বাধাবে না জোট প্রক্রিয়ায়।
নরেন্দ্র মোদীর বিজেপিকে রুখতে 'মিশন ২০১৯'-এর 'ভিশন' তৈরি করে ফেললেন অখিলেশ। এবার পিসি-ভাইপোর জুটি হচ্ছেই। কোনও অবস্থাতেই তাঁদের আসনরফা বিপত্তি বাধাবে না জোট প্রক্রিয়ায়। প্রয়োজনে মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টিতে বাড়তি আসন ছাড়তে হলেও সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব পিছপা হবেন না।
অখিলেশ সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি মায়াবতীর সঙ্গে জোট বেঁধেই এবার বিজেপি হটাতে আসরে নামবেন। 'মিশন ২০১৯'-এ তিনি তৈরি এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে। মোট কথা বিনা যুদ্ধে বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নন তিনি। উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোট সফল হয়েছে। সেই সাফল্যের সরণি বেয়েই তাঁরা লোকসভায় বাজিমাত করতে চান।
এর আগে গোরক্ষপুর-ফুলপুরের মতো বিজেপির গড়েও সপা-বসপা রসায়ন ক্লিক করেছে। এবার উপনির্বাচনে কৈরানা ও নুরপুরেও বিজেপিকে মাত দিয়েছে পিসি-ভাইপোর জুটি। তাই এই জুটি তাঁরা ভাঙতে চাইছেন না লোকসভায়। লোসকভায় উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে কাত করতে চাইছেন অখিলেশ। তাই মায়বতীজি যদি বেশি আসন চান, তাতেও গররাজি হবেন না সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, গতবার লোকসভায় উত্তরপ্রদেশ থেকে একটি আসনিও জিততে পারেননি মায়াবতী। গেরুয়া ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছিল তাঁর বহুজন সমাজবাদী পার্টি। অখিলেশের সমাজবাদী পার্টিও পাত্তা পায়নি বিজেপি ঝড়ের কাছে। মাত্র দুটি আসন পেয়েছিল সপা। কিন্তু বর্তমানে আঞ্চলিক দলগুলির জোট অন্যমাত্রা পেয়েছে। তাঁদের শক্তিও অনেক বেড়েছে। আর সম্মিলিত শক্তির কাছে এঁটে উঠছে না বিজেপির মতো সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী দলও।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বসপা সুপ্রিমো ৫০ শতাংশ আসন দাবি করেছেন মায়াবতী। একান্তই যদি তিনি এর থেকে নিচে নামতে রাজি না হন, তবে সমাজবাদী পার্টি ৩০ থেকে ৩৫টি আসনে প্রার্থী দিতে। ৮০ আসনের লোকসভায় উত্তপ্রদেশের কংগ্রেসও অন্যান্যরাও কয়েকটি আসনের দাবিদের। সেইমতো হয়ে কী রফাসূত্র দাঁড়ায় তা চূড়ান্ত হওয়ার সময় এখনও আসেনি। তবে কংগ্রেস থেকে শুরু করে সপা, বসপা, আরএলডি- সবাই জোট গড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে তৎপর।
রাহুল গান্ধীও চাইছেন জোট গড়ে লড়াই এগিয়ে নিয়ে যেতে। মায়াবতীর সঙ্গে তিনিও সখ্য গড়ে তুলতে তৎপর। কর্ণাটকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যে চিত্র ধরা পড়েছে বিরোধী-ঐক্যের, সেইমতো রফাসূত্র তৈরি করতে রাহুল ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছেন। একপ্রস্থ বৈঠকও সেরেছেন সপা-বসপার সঙ্গে। সেই সূত্র ধরে মধ্যপ্রদেশে বসপাকে ৩০টি আসন ছাড়তে পারেন তিনি। মোট কথা শক্তিশালী বিরোধী ঐক্য গড়তে উদারপন্থী হতে চাইছেন কংগ্রেস সভাপতি।