বড় ধাক্কা রাহুলের, মহাজোট ছাড়লেন আরও এক ‘হেভিওয়েট’! অ্যাডভান্টেজ মোদী
২০১৯-এর মহাযুদ্ধের এখনও ঢের দেরি। তার আগে রয়েছে সেমিফাইনাল। সেই সেমিফাইনাল যুদ্ধের আগে মহাজোট ত্যাগ করল আরও একটা বড় দল।
২০১৯-এর মহাযুদ্ধের এখনও ঢের দেরি। তার আগে রয়েছে সেমিফাইনাল। সেই সেমিফাইনাল যুদ্ধের আগে মহাজোট ত্যাগ করল আরও একটা বড় দল। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেই মহাজোটে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। আগেই মহাজোট ত্যাগ করেছিলেন পিসি। এবার ভাইপো অখিলেশও মায়াবতীর পথ অনুসরণ করলেন।
কংগ্রেসের কাছে দুঃসংবাদ
কর্ণাটক নির্বাচনেই মহাজোটের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন বিজেপি বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না আদৌ। লোকসভার প্রাক্কালে পাঁচ রাজ্যের ভোটেও সেই প্রভাব পড়ল না। এক এক করে মহাজোট ছাড়ছেন আঞ্চলিক দলগুলি। সবার মুখেই এক কথা, লোকসভা সে দেখা যাবে। তবে বিধানসভায় আলাদাই লড়ব।
মহাজোট ত্যাগ অখিলেশের
মহাজোটে না করে দিলেন অখিলেশ যাদব। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর সমাজবাদী পার্টি আসন্ন বিধানসভায় মহাজোট থাকবে না। পাঁচ রাজ্যেই তাঁরা লড়াই করবেন। তবে লড়াই করবেন পৃথকভাবে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে নয়। তবে এই পৃথক লড়াই লোকসভায় কোনও প্রভাব ফেলবে না।
আগে মায়াবতীর কং-সঙ্গ ত্যাগ
বহুজন সমাজবাদী পার্টি নেত্রী মায়াবতী আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে আলাদা লড়াই করার ব্যাপারে। তিনি কংগ্রেসের সমালোচনাও করেছেন এ প্রসঙ্গে। তিনি জানান, রাহুল ও সোনিয়াজি মহাজোট নিয়ে অনেক নমনীয়, কিন্তু কংগ্রেসের অন্যান্যা নেতৃত্ব ততটা নমনীয় নয়। তাই বিধানসভায় মহাজোট হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন:বিজেপিতে যোগ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ‘সঙ্গী' র, লোকসভার আগে বড়সড় ধাক্কা বিরোধী-শিবিরে]
সপা-বসপা জোট চান অখিলেশ
দুই রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেস নয়, বহুজন সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট করতে চান অখিলেশ যাদব। এদিন কংগ্রেস জোট ছাড়ার কথা ঘোষণা করে এমনই বার্তা দিয়েছেন সমাজবাজী পার্টি সুপ্রিমো। তিনি বলেন, কংগ্রেস পাঁচ রাজ্যের জোটের জন্য বহুদিন ধরে অপেক্ষা করিয়ে রেখেছে তাঁদের। বোধহয় কংগ্রেস আগ্রহী নয়। তাই বিধানসভা নির্বাচনে মহাজোটের রাস্তা ত্যাগ করলাম।
অখিলেশ ও মায়াবতীর মত
বসপা নেত্রী মায়াবতী মনে করেন, লোকসভায় বিজেপিকে হঠাতে বিধানসভা থেকেই মহাজোটের যাত্রা শুরু করা উচিত ছিল। কিন্তু তা হল না। অখিলেশও মনে করেন, কংগ্রেসের আরও সদিচ্ছা দেখানো উচিত ছিল। আরও দেরি করার অর্থ মহাজোটের সম্ভাবনা দুর্বল করে দেওয়া।
[আরও পড়ুন:রোড শো চলাকালীন হঠাৎ বিস্ফোরণ! হতচকিত রাহুল বললেন, কংগ্রেস মিথ্যা বলে না]