বিতর্কিত 'ধর্ষণ' মন্তব্যের পরও মুলায়মের পাশেই দল
এদিন মুলায়ম বলেন, ধর্ষণের জন্য ফাঁসি দেওয়া উচিত নয়। ছেলেরা ভুল করে ফেলে। আমরা ক্ষমতায় এলে আইনে বদল আনব। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরে দিল্লিতে নির্ভয়া গণধর্ষণ কাম্ডের পরই ধর্ষণ বিরোধী আইন প্রণয়ণ করা হয়। এর পরে মুম্বইয়ে শক্তিমিলে পর পর দুই গণধর্ষণের ঘটনায়েই দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় পুলিশ। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই এই মন্তব্য করেন মুলায়ম।
কেন মুলায়ম সিং যাদব ও তাঁর দল ধর্ষণকারীদের রক্ষা করতে চাইছে? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে
যদিও দলের প্রধানের এহেন মন্তব্যে কোনও আপত্তি নেই সপা নেতাদের। বরং প্রধানের বক্তব্যের পক্ষে ব্যাট হাতে নেমে পড়েছেন বহু সপা নেতা। সমাজবাদী পার্টির বিশিষ্ট নেতা নরেশ আগরওয়ালের কথায়, এই ধরণের কড়া ধর্ষণ বিষয়ক আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। এবং অনেক নির্দোষ ব্যক্তিদের উপর তা প্রয়োগ করা হচ্ছে। যদি মুলায়ম সিং যাদব এধরণের কোনও মন্তব্য করে থাকেন, তাহলে তিনি ঠিকই বলেছেন।
যদিও বাবার কীর্তিতে মুখ খুলতে চাননি ছেলে তথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তাঁকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুকৌশলে তিনি উত্তর এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, কোন প্রসঙ্গে, কোন পরিস্থিতিতে এধরণের মন্তব্য করা হয়েছে তিনি জানেন না। তাই কিছু না জেনে আলটপকা মন্তব্য তিনি করবেন না বলে জানিয়ে দেন অকিলেশ।
দল পাশে থাকলেও কংগ্রেস বিজেপি নির্বিশেষে সমস্ত বিরোধীদলগুলিই মুলায়মের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে।
বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামী বলেছেন, বলার আগো কী বলছেন তা ভাবা উচিত মুলায়ম সিং যাদবের। ধর্ষণ নিয়েও এবার তিনি সংখ্যালঘুর রাজনীতি খেলতে চাইছেন। বিজেপিরই আর এক নেতা মুক্তার আব্বাস নাকভির কথায়, মুলায়ম সিং যাদবের সরকার কোনওদিন ক্ষমতায় আসবে না। কিন্তু যদি সে ধরণের কোনও সম্ভাবনা থাকে তাহলে, সব গুণ্ডারা জেল থেকে বেরিয়ে আসবে। স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারবে, এবং দেশের ক্ষতি করবে।
সমালোচনায় মুখর হয়েছে, কংগ্রেস নেতৃত্বও। কংগ্রেস নেত্রী শোভা ওঝা মুলায়মের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কোনও রাজনৈতিক নেতার এমন কোনও মন্তব্য করা উচিত না যা ধর্ষণকে উৎসাহ যোগায়।
প্রশ্ন উঠছে কেন মুলায়ম সিং যাদব ও তাঁর দল ধর্ষণকারীদের রক্ষা করতে চাইছেন?