দিল্লিতে ভোট, ২ আঞ্চলিক দলের দুই অবস্থান
৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এসপি ও বিএসপি দুই দলই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। যদিও তাদের অবস্থান হতে যাচ্ছে ভিন্ন প্রকৃতির।
৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এসপি ও বিএসপি দুই দলই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। যদিও তাদের অবস্থান হতে যাচ্ছে ভিন্ন প্রকৃতির। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এসপি দিল্লিতে আপকে সমর্থন করতে পারে। অন্যদিকে আলাদাভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএসপি।
দিল্লির নির্বাচনে প্রার্থী নাও দিতে পারে এসপি
সূত্রের খবর অনুযায়ী দিল্লির নির্বাচনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে বিভ্রান্তির স্তরে রয়েছে সমাজবাদী পার্টি। তবে দলেই অন্য একটি সূত্র জানাচ্ছে, তারা দিল্লিতে আপকেই সমর্থনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সম্প্রতি হওয়া মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচনে এসপি দুটি আসনে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু হরিয়ানা কিংবা ঝাড়খণ্ডে একটি আসনও দখল করতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিরোধী ভোট তারা ভাগ হতে দিতে চাইছে না। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টি জানাচ্ছে ২০২৮ এবং ২০২৯-এ উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনে আপ তাদেরকে সমর্থন করেছি। এসপি মনে করে দিল্লিতে দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচনে জয় পাবে আপ। সেই কারণে তাদের অবস্থানকেই জোরদার করা উচিত, মনে করছে এসপি। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এসপির তরফ থেকে।
৭০ আসনেই লড়াই বিএসপির
বিএসপির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে তারা একাই লড়াই করবে এবং ৭০টি আসনেই প্রার্থী দেবে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়া সত্ত্বেও তারা দিল্লিতে সবকটি আসনেই লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা মনে করছে বিপুল সংখ্যায় দলিত ভোটের অনেকটাই তারা পাবে। এছাড়াও দিল্লিতে উত্তর প্রদেশ থেকে যাওয়া বহু মানুষ রয়েছেন। দিল্লিতে ৭০ টি আসনের মধ্যে ১২ আসন তফশিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত।
দিল্লিতে ঘাঁটি তৈরির চেষ্টা বিএসপির
অপর
দিকে,
দিল্লিতে
নিজেদের
ঘাঁটি
শক্ত
করার
জন্য
অনেকদিন
ধরেই
চেষ্টা
চালাচ্ছে
বিএসপি।
দলের
প্রতিষ্ঠাতা
কাঁসিরাম
এবং
দলের
জাতীয়
সভাপতি
মায়াবতী
৮০
দশকের
মধ্যবর্তী
সময়
থেকে
চেষ্টা
চালিয়ে
যাচ্ছেন
রাজধানীতে
নিজেদের
শক্তি
বাড়াতে।
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
এবারের
নির্বাচনে
পশ্চিম
উত্তরপ্রদেশের
বিএসপির
নেতৃত্বকে
দিল্লিতে
প্রচারের
দায়িত্ব
দেওয়া
হয়েছে।
সম্প্রতি
লখনৌতে
দিল্লির
ভোট
নিয়ে
বৈঠক
করেছেন
মায়াবতী।
২০১৫-র নির্বাচনে বিএসপির ৬৯ প্রার্থীর জমানত জব্দ
২০১৫ সালে প্রবল আপ হাওয়ায় বিএসপির ৬৯ জন প্রার্থীর জমানত জব্দ হয়ে গিয়েছিল। বিজেপির সেই ভোটেওও ৭০ জন প্রার্থী দিয়েছিল।