এই শতাব্দীর শেষে দক্ষিণ ভারতে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হবে, সমীক্ষায় দাবি আইআইটি খড়গপুরের
এই শতাব্দীর শেষে দক্ষিণ ভারতে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হবে, সমীক্ষায় দাবি আইআইটি খড়গপুরের
ভারতে বর্ষার ধরণটি এই শতাব্দীর শেষে বড় পরিবর্তন দেখাতে পারে বলে মনে করছে পশ্চিমবঙ্গের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ খড়গপুর। খড়গপুর আইআইটির গবেষকদের মতে, মধ্য ও উত্তর ভারতের তুলনায় দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের চরম বৃদ্ধি নথিভুক্ত করা হবে।
দৈনিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে
গবেষকরা এও জানিয়েছেন যে চরম বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে আরব সাগর উপকূলবর্তী ও দক্ষিণ-এশিয়া দেশগুলিতে। যার মধ্যে মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও মালেশিয়া উল্লেখযোগ্য। এই সমীক্ষার নেতৃত্বদানকারী ও আইআইটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের অধ্যাপক রাজীব মাইতি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ দৃশ্য হল, উত্তর ভারতে প্রতিদিন ২.৭ এমএম বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে এবং হিমালয়ের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রতিদিন ১৮.৫ এমএম বৃষ্টি হবে এবং পশ্চিম ঘাটে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে।
শতাব্দী শেষে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত
এই শতাব্দীর শেষে এই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থাকবে দেশ, যার তিন শেষ দশক হল ২০৭১ থেকে ২১০০। গবেষকরা প্রায় পাঁচ দশকের (১৯৭১-২০১৭) গ্রীষ্মকালীন বর্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন, যার ভিত্তি হিসাবে গবেষকরা ১৯৩০ ও ১৯৭০ সালকে বেছে নিয়েছেন। এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বৈজ্ঞানিক রিপোর্ট জার্নালে।
বর্ষার হাওয়ার দিক পরিবর্তন
রাজীব মাইতি বলেন, ‘আমাদের বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে দক্ষিণপূর্ব বর্ষার হাওয়া দিক বদল করে তা পূর্বের দিকে বইছে। এই দিক বদলের পরিবর্তনটি দক্ষিণ এবং উত্তর ভারতের মধ্যে ইতিমধ্যে ভভিষ্যতে পর্যবেক্ষণ হওয়া বৃষ্টিপাতের বিপরীতে আরও তীব্রতর হবে এবং মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও মালেশিয়ার মতো দেশে আরও বেশি বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটবে।'
তীব্র হচ্ছে ভাত মহাসাগরের ডিপোল
গবেষকদের মতে, ভারত মহাসাগরের ডিপোল, যা ভারতীয় নিনো হিসাবে পরিচাত, তা প্রশান্ত মহাসাগরের সমতুল্যতার কারণে তীব্রতর হচ্ছে, যা গোটা ভারতে বৃষ্টিপাতের ক্রমবর্ধমান কারণ হতে পারে। ভারত মহাসাগরের ডিপোল ভারত মহাসাগরের বিপরীত দিকে তাপমাত্রাগুলিকে বোঝায় যা ঘুরেফিরে বৃষ্টিপাতের প্রভাবকেই প্রভাবিত করে। আইআইটির সমীক্ষা এও জানিয়েছে যে ভারতের বর্ষা দেশের কৃষিকাজের ওপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা সঙ্গে জড়িত দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা, এই বর্ষা কৃষিকাজের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
সোনার দাম হু হু করে নেমে ৫০ হাজারের ঘরে! লক্ষ্মীবারে কলকাতার দর কত