(ছবি)হঠাৎ মৃত্যু তেলুগু অভিনেত্রী আরতি আগরওয়ালের! ভুল 'লাইপোসাকশন সার্জারি'ই কী কারণ?
নয়াদিল্লি, ৮ জুন : তেলুগু অভিনেত্রী আরতি আগরওয়ালের হঠাৎ মৃত্যুতে হতবাক ফিল্ম নগর। গত ৬ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয় আরতির। তাঁর বয়স হয়েছিল ৩১ বছর।
মিডিয়া সূত্রের খবর, বহু বছর ধরেই শ্বাসকষ্টের রোগে ভুগছিলেন আরতি। ৬ সপ্তাহ আগে লাইপোসাকশন সার্জারি (একধরণের কসমেটিক সার্জারি যার মাধ্যমে চামড়র নিচ থেকে অতিরিক্ত চর্বি শুষে বের করা হয়।)র ভুলের জেরে তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রবলভাবে বেড়ে যায়। এরপরেই জটিলতার জেরে হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দিলে মৃত্যু হয় তাঁর।
আরতির ম্যানেজার আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, আরতি স্থূলতা ও ফুসফুসজনিত রোগে ভুগছিলেন। এর ফলে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিছু শারীরিক জটিলতার কারণে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তেলুগু চলচ্চিত্র জগতের প্রায় সব নামি দামি অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। একটা সময় তাঁকে তেলুগু ফিল্মের রানি বলা হতো। কিন্তু একের পর এক বিতর্কের জেরে হাতে কাজ কমতে শুরু করে আরতির এবং ভক্তদের মন থেকে ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকেম আরতি।
রূপোলি পর্দায় বহু দিন দেখা ছিল না আরতির। শুধু কিছু টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। তবে এই শুক্রবারই তাঁর সর্বশেষ তেলেগু ছবি 'রানাম ২' ছবিটি তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে মুক্তি পায়।
সূত্রের খবর আরতির মতো বহু তেলুগু তরুণী শিল্পীই কাজের ক্ষেত্রে দুঃসময়ের সম্মুখীন হয়ে ডিপ্রেশন এবং স্থূলত্বের মতো রোগের সঙ্গে মানসিক লড়াই চালিয়ে বেঁচে আছেন।
পর পর ফ্লপ ছবি এবং চলিউড অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ত সমাপ্তির পরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন আরতি। এরপরেই অনেকখানি ওজন বাড়িয়ে ফেলেন তিনি। ২০০৫ সালে একবার তিনি হায়দ্রাবাদে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিলেন বলে শোনা যায়। কিন্তু আবার চলচ্চিত্র জগতে ফিরে আসার জন্যই লাইপোসাকশন অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আরতি।
আরতি
ভেঙ্কটেশের বিপরীতে নভ্ভু নাকু নাচাভ ছবি দিয়েই ফিল্ম জগতে অভিষেক আরতির।
তেলুগু ফিল্মের রানি
একসময় আরতিকে তেলুগু ছবির রানি বলা হত। নাগার্জুন, চিরঞ্জীবী, ভেঙ্কটেশ ও বালকৃষ্ণাণের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন।
আরতি
উদয় কিরণ, এনটিআর, তরুন, মহেশবাবুর মতো তরুণ অভিনেতাদের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন আরতি।
সম্পর্কে ভাঙন
তরুণের সঙ্গে আরতির সম্পর্ক ভাঙার ঘটনাটি এখনও আলোচিত বিষয় তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে।
আরতি
মিডিয়া সূত্রের খবর, বহু বছর ধরেই শ্বাসকষ্টের রোগে ভুগছিলেন আরচি। ৬ সপ্তাহ আগে লাইপোসাকসন সার্জারির ভুলের জেরে তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রবলভাবে বেড়ে যায়। এরপরেই জটিলতার জেরে হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দিলে মৃত্যু হয় তাঁর।
শেষ ছবি
রূপোলি পর্দায় বহু দিন দেখা ছিল না আরতির। শুধু কিছু টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। তবে এই শুক্রবারই তাঁর সর্বশেষ তেলেগু ছবি 'রানাম ২' ছবিটি তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে মুক্তি পায়।
অকাল মৃত্যু
মাত্র ৩১ বছর বয়সে মৃত্যু হল আরতির।
আরতি
আরতির ম্যানেজার আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, আরতি স্থূলতা ও ফুসফুসজনিত রোগে ভুগছিলেন। এর ফলে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিছু শারীরিক জটিলতার কারণে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।