নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষণা রাজ্যপালের, দাবি সূত্রের
নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে অযোগ্য ঘোষণা রাজ্যপালের, দাবি সূত্রের
বিধায়ক হিসেবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণা করা হল। শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইস নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব গ্রহণ করে হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের কাছে নির্বাচন কমিশন হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ করেছিল। তবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফে আগেই জানানো হয়েছে, হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন।
হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণা
ঝাড়খণ্ডের প্রবীণ নেতা সরযু রায় জানিয়েছেন, সূত্রের মারফৎ জানতে পেরেছেন নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঝাড়খণ্ডের রাজভবন থেকে এই বিষয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। এই বিষয়ে রাজভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে হেমন্ত সোরেন্তকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। তবে আদালত এই বিজ্ঞপ্তির ওপর স্থগতিদেশ দিতে পারে।
হেমন্ত সোরেনের পরবর্তী পদক্ষেপ
রাজভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরেই হেমন্ত সোরেনকে পদত্যাগ করতে হবে। তার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মন্ত্রিপরিষদ থেকেও পদত্যাগ করতে হবে। তবে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে উপনির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন। সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে তাঁকে শুধু বিধায়ক হিসেবে অযোগ্য ঘোষণার কথা বলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনি বিধি ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। তবে উপনির্বাচনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে কোনও বিধি নিষেধ জারি করা হয়নি। যার ফলে হেমন্ত সোরেন ফের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তিনি পুরনায় নির্বাচিত হতে পারেন। বর্তমানে তিনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন।
হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে খনি লিজ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের অধীনের রাজ্যের খনি দফতর রয়েছে। হোরেনের বিরুদ্ধে অভিযোগে, তিনি নিজের জন্য ও ভাইয়ের জন্য খনি লিজে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ইডি রাজ্যের খনি দফতরের সচিব পূজা সিংগলকে গ্রেফতার করেছে। পূজা এই লাইসেন্সগুলো দিয়েছিলেন। বিজেপির তরফে এই অভিযোগ ওঠার পর নির্বাচন কমিশন তদন্ত শুরু করে। সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে শুনানি ১৮ অগাস্ট শেষ হয়। ১২ অগাস্ট শুনানির সময় সোরেনের আইনজীবারা জানিয়েছিলেন, খনি লিজের ঘটনা কখনই জনপ্রতিনিধি আইনের ১৯৫১ এর ৯ (এ) ধারার মধ্যে পড়ে না। পাল্টা বিজেপির আইনজীবীরা মতামত দেন। প্রায় দুই ঘণ্টা এই তর্ক বিতর্ক চলে। এরপরেই নির্বাচন কমিশন তাদের রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে পাঠায়। হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য বিধায়কের সুপারিশ করে।