কাশ্মীরের বুকে আরও এক আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার চক্রান্ত! গুলিতে মৃত জঙ্গি
কাশ্মীরের বুকে আরও এক আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার চক্রান্ত! গুলিতে মৃত জঙ্গি
আরও এক আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছিল জইশ-ই-মহম্মদ। আর এই আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে সঙ্গেই। তবে, এই দ্বিতীয় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার আগেই তা থামানো গিয়েছে। বলতে গেলে প্রাণ বেঁচেছে আরও অসংখ্য মানুষের। সর্বভারতীয় এক ইংরাজি সংবাদমাধ্যম এমনই দাবি করেছে। জানা গিয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই আত্মঘাতী জঙ্গি-সহ আরও তিন জনের। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ভিডিও। যাতে দেখা যাচ্ছে মৃতদের মধ্যে এক জঙ্গি আত্মঘাতীয় জঙ্গি হামলার কথা বলে নিজের পরিচয় দিয়ে জইশ-ই-মহম্মদ-এর নামে শপথ নিচ্ছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের কুলগ্রামে তুরিগ্রামে এক তল্লাশি অভিযানে একটি জঙ্গি দলের সঙ্গে এনকাউন্টারে জড়িয়ে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনী। শেষপর্যন্ত সেই অভিযানে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে একজনের নাম ছিল রাকিব আহমেদ শেখ। যার বাড়ি কুলগ্রামেরই শিগানপোরায় এবং সে ছাত্র ছিল বলেই এলাকার মানুষের দাবি। কিন্তু, কয়েক বছর ধরেই বিচ্ছন্নতাবাদীদের সঙ্গে তার ওঠাবোসা বেড়েছিল বলেও স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন। এছাড়াও আরও দুই জঙ্গি-র নামও উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী। এদের মধ্যে একজনের নাম নুমান ও অন্য়জন ফলিদ। এই দুই জন পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে দাবি করে নিরাপত্তাবাহিনী।
সর্বভারতীয় ইংরাজি সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই তিন জঙ্গি-র সঙ্গে জইশ-ই-মহম্মদ-এর যোগ থাকার একাধিক প্রমাণও মিলেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় প্রমাণ এদের কাছে উদ্ধার হওয়া মোবাইল। এগুলি সব ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, ডিফেন্সের সাইবার বিশেষজ্ঞরা এই মোবাইলগুলি আনলক করার পর বিষ্মিত হয়ে গিয়েছে। কারণ, এই মোবাইলগুলি থেকে একাধিক এমন সব তথ্য মিলেছে যাতে প্রমাণিত হচ্ছে যে জইশ-ই-মহম্মদ কাশ্মীরে আরও এক আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার চক্রান্ত করেছিল। কোথায়? কবে? এবং কখন?- এই আত্মঘাতী হামলা হবে তা নিয়ে নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে কিছু জানা যায়নি। তবে, রাকিব-এর মোবাইল থেকে একটি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। ঠিক যেমন পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল দারের ভিডিও পাওয়া গিয়েছিল ঠিক তেমনই এক ভিডিও। নিজের পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভিডিও-তে রাকিবকে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পক্ষে বহু কথা বলতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, কেন জইশ-ই-মহম্মদ-এর দেখানো পথে সে সওয়ারি হয়েছে তাও এই ভিডিও-তে বলেছে রাকিব।
এই ভিডিও উদ্ধার হওয়ার পর ঘুম ছুটেছে মিলিটারি ইনটেলিজেন্সের। প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রেও গাড়ি-তে বিস্ফোরক নিয়ে হামলার সম্ভাবনা ছিল। এমনকী কোনও হাই টার্গেট ভ্যালু-তে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল রাকিবের। তিন জঙ্গির কাছে যে নথি ও তথ্য মিলেছে তাতে মনে করা হচ্ছে এই আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার নিশানায় ছিল সেনাবাহিনী। এমনও আরও কিছু আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা কাশ্মীরে হবে বলেও এই সব তথ্যে ইঙ্গিত মিলেছে।