ক্রিকেট ছেড়ে ভোটের ময়দানে কি শেহওয়াগ-গম্ভীর, গুঞ্জন উঠেছে দিল্লির রাজনীতিতে
২২ গজে ওপেনিং জুটিতে ভারতকে একাধিক ক্রিকেট ম্যাচ জিতিয়েছেন গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দর সেহওয়াগ। এবার কি এই ওপেনিং জুটি নয়া ইনিংসের লক্ষ্যে নামছেন রাজনীতিতে? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দিল্লির রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে জোর খবর বিজেপি-র হয়ে এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চলেছেন গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দর সেহওয়াগ।

রাজনীতিতে দু'জনেই বিজেপি-র হয়ে ব্যাট করবেন বলেই সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সাংসদকে প্রার্থী করবে না বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই স্থানে যে সব নয়া মুখের আবির্ভাব ঘটবে তাতেই নাকি বিবেচিত হয়েছে গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দর সেহওয়াগ-এর নাম। এই দুই ক্রিকেটারকেই প্রার্থী করার বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে বলেও এই সূত্রে দাবি করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন:ভারত কি গোপনে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে! রাজনাথের মন্তব্যে জল্পনা ]
দিল্লি ও বিহার থেকে গম্ভীর ও সেহওয়াগ-কে প্রার্থী করা হতে পারে। অথবা বিহারের স্থানে গুজরাটও হতে পারে গম্ভীর ও সেহওয়াগের নির্বাচনী কেন্দ্র। তবে এই বিশেষ সূত্রে আরও দাবি করা হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ থেকেও দুই ক্রিকেটারের মধ্যে একজনকে প্রার্থী করার জোরদোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মোদীর 'প্রশংসা' অন্যতম বিরোধী নেতার! লোকসভা ভোটের আগে নতুন জোটের ইঙ্গিত ]
গম্ভীর ও সেহওয়াগের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিজেপি কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এমনকী, দুই ক্রিকেটারকেও এই নিয়ে মন্তব্যে জন্য পাওয়া যায়নি। দিল্লি-তে ভোটের লড়াইয়ে তাদের থেকে আপ ও কংগ্রেস এগিয়ে আছে বলে মনে করছে বিজেপি-র একটা অংশ। সেই কারণে দিল্লির দুই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরে ভোটব্যাঙ্কের ফাঁটল কিছুটা হলেও মেরামতি করতে চাইছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন:ফের ভারত বনধ! ২ দিনের জন্য স্তব্ধ হবে দেশ, মোদীর বিরোধিতায় পথে নামছেন শ্রমিকরা]
গত কয়েক বছর ধরেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু এবং রাজনীতিতে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করে আসছেন গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দর সেহওয়াগ। পাকিস্তানের বিরোধিতা এবং জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত সরকারের পক্ষ নিয়ে গম্ভীরের একাধিক মন্তব্য সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেহওয়াগও নানা ধরনের ইস্যুতে মোদীর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। বিজেপি-র থিঙ্ক ট্য়াঙ্ক-এ থাকা সদস্যরা মনে করছেন গম্ভীর ও সেহওয়াগের পিছনে একটা বিশাল সংখ্যক ভক্তের দল রয়েছে। নির্বাচনী বৈতরণীতে যা অনেকটা অ্যাডভ্যান্টেজ দিতে পারে।