পুরোপুরি বিপন্মুক্ত সৌরভ, কোন পথে এগোল মহারাজের চিকিৎসা, দেখে নেওয়া যাক
পুরোপুরি বিপন্মুক্ত সৌরভ, কোন পথে এগোল মহারাজের চিকিৎসা, দেখে নেওয়া যাক
পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হৃদপিণ্ডে আর অ্যাঞ্জিওপ্ল্যাস্টি করার আপাতত কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিসিসিআই সভাপতিকে কাল বা মঙ্গলবার কিংবা বুধবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে খবর। এ ব্যাপারে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি ও রমাকান্ত পাণ্ডারও সায় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তাই চট করে দেখে নেওয়া যাক কোন পথে এগোল সৌরভের চিকিৎসা।
আপাতত বিপন্মুক্ত সৌরভ
ঠিক ছিল, সোমবার কলকাতায় আসবেন বিশিষ্ট হৃদ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠী। কিন্তু তাঁর সফর একদিন পিছিয়ে যাওয়ায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হৃদপিণ্ডের অ্যাঞ্জিওপ্ল্যাস্টিও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও বিসিসিআই সভাপতির স্বাস্থ্যের গতি-প্রকৃতির পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট ডাক্তার শেঠির কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাইপাস সার্জারি করা ডাক্তার রমাকান্ত পান্ডের থেকেও পরামর্শ নিচ্ছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যে বিসিসিআই সভাপতির স্বাস্থ্য নিয়ে সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বৈঠকে বসে উডল্যান্ডসের ৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। জুম কলের মাধ্যমে তাতে অংশ নেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি ও রমাকান্ত পাণ্ডা। সেখানেই ঠিক হয় যে পুরোপুরি বিপন্মুক্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হৃদপিণ্ডে আর অ্যাঞ্জিওপ্ল্যাস্টি করা হবে না।
ইকোকার্ডিওলজি রিপোর্ট সন্তোষজনক
সোমবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইকোকার্ডিওলজি করা হয়। সেই রিপোর্টে নতুন কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি বলে উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে আপাতত রক্ত তরল রাখার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে সৌরভকে। কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিসিসিআই সভাপতিকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
অসুস্থ হন সৌরভ
গত শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি হন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেদিনই তাঁর হদপিণ্ডে একটি স্টেন্ট বসানো হয়। বিসিসিআই সভাপতির হৃদযন্ত্রে আরোও দুটি ছিদ্র রয়েছে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল।
সৌরভের জন্য চিন্তা
বিসিসিআই সভাপতির দ্রুত আরোগ্য কামনায় সামিল হয়েছে দেশ। হাসপাতালে গিয়ে মহারাজকে দেখে আসেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল ধনকড়। মহারাজের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বিসিসিআই সভাপতির শারীরিক পরিস্থিতি জানতে ফোন করেছিলেন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। হাসপাতালে এসে দাদাকে দেখে যান প্রাক্তন বিসিসিআই কর্তা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সৌরভের আরোগ্য কামনায় সামিল হয়েছেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু।