দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সোনিয়া, রাহুল গান্ধী! ৭ অগস্ট আদালতে হাজিরার নির্দেশ
বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর রুজু করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এমন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারক গোমতী মনোচা বলেছেন, "সব অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আমি প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পেয়েছি। তাই ওঁদের আগামী ৭ অগস্ট হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।"
কেন এই সমন?
তখন ১৯৩৮ সাল। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন তুঙ্গে। জওহরলাল নেহরু উপলব্ধি করলেন, একটি সংবাদপত্র থাকা দরকার, যারা দেশের মানুষের কথা তুলে ধরবে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে কথা বলবে। সেই ভাবনা থেকে জন্ম নেয় 'দ্য ন্যাশনাল হেরাল্ড'।
"সব অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আমি প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পেয়েছি", বললেন বিচারক
এই খবরের কাগজটি সুষ্ঠুভাবে চালাতে একটি প্রকাশনা সংস্থাও গঠন করা হয়, যার নাম ছিল 'অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস' এবং এটি ছিল একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। ২০০৮ সালে অর্থের অভাবে 'দ্য ন্যাশনাল হেরাল্ড' এবং 'অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস', দু'টিই বন্ধ হয়ে যায়। এ বার ঘটনা নাটকীয় মোড় নেয়! ২০১০ সালের নভেম্বরে গান্ধী পরিবারের আনুকূল্যে তৈরি হয় একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। 'ইয়ং ইন্ডিয়ান্স' নামের ওই কোম্পানির ৭৬ শতাংশ শেয়ার হল সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর। তাঁরা বন্ধ হয়ে যাওয়া 'অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস' অধিগ্রহণ করতে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। কংগ্রেসের দলীয় তহবিল থেকে ৯০ কোটি টাকা নেওয়া হয়। সেই টাকা দিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানির শেয়ার গোপনে কিনে তার মালিকানা নেয় গান্ধীদের ওই নবগঠিত কোম্পানিটি। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইন অনুসরণ করা হয়নি। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ, গান্ধী পরিবারের মূল উদ্দেশ্য ছিল দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে 'দ্য ন্যাশনাল হেরাল্ড'-এর নামে যে বিপুল সম্পত্তি আছে, তা হস্তগত করা, যার বাজারদর বর্তমানে ১৬০০ কোটি টাকা!
এখন যে অনিয়মগুলি সামনে এসেছে, তা হল: প্রথমত, আয়কর আইন অনুযায়ী, কোনও রাজনীতিক দল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে টাকা বিনিয়োগ করতে পারে না। দ্বিতীয়ত, একটি রাজনীতিক দলের টাকা কেন একটি পরিবার তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করবে? তৃতীয়ত, একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে যে পন্থায় প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত করা হয়েছে, তা আইনবিরুদ্ধ। কারণ এমন হস্তান্তরের ক্ষেত্রে 'কোম্পানিজ অ্যাক্ট'-এর কিছু ধারা মেনে কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে তা হয়নি।
এ দিন বিচারক সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর এই যুক্তিতে সহমত হন। তাই গান্ধী পরিবার তথা কংগ্রেসের সবথেকে দুই হেভিওয়েটকে সমন পাঠিয়েছেন। মামলাকারী অর্থাৎ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানান, আদালতে হাজির হয়ে তাঁদের পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং জামিন নিতে হবে। ওই দিন সশরীরে তাঁরা আদালতে হাজির না হলে গ্রেফতারির নির্দেশ জারি হবে। তখন তাঁদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করতে বাধ্য থাকবে পুলিশ।
এই
পরিপ্রেক্ষিতে
কংগ্রেস
মুথপাত্র
অভিষেক
মনু
সিংভি
বলেন,
"সুব্রহ্মণ্যম
স্বামী
এ
ধরনের
ভুয়ো
মামলা
করতে
অভ্যস্ত,
এটা
সবাই
জানে।
একটু
অপেক্ষা
করুন।
আদালতের
রায়ের
কপি
হাতে
পাই।
তার
পর
উপযুক্ত
ব্যবস্থা
নেওয়া
হবে।"