
আমি স্বস্তি বোধ করছি , মল্লিকার্জুনের হাতে দায়িত্ব যাওয়ায় নিশ্চিন্ত সোনিয়া
কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হিসাবে সোনিয়া গান্ধীর থেকে দলের দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত পেয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তবে তাঁর হাতে দলের ব্যাটন যাওয়ায় খুশি কংগ্রেসের সভানেত্রী। তিনি স্পষ্ট বলেছেন যে খাড়গের হাতে দলের দায়িত্ব যাওয়ায় তিনি বেশ নিশ্চিন্ত।

স্বস্তিতে সোনিয়া
সোনিয়া বলেন দল চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছে অতীতে তবে কোনঅ সময়েই হেরে বেরিয়ে আসেনি। তবে এখন সবথেকে সমস্যার মধ্যে আছে দেশ। দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে রয়েছে। এমন সময়ে দলের দায়িত্ব যাচ্ছে মল্লিকার্জুন খাড়গের হাতে। আমি সত্যিই নিশ্চিন্ত বোধ করছি।

কী বলছেন সোনিয়া?
সোনিয়া বলেন , "কেন আমি স্বস্তি বোধ করছি জানেন? আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মনে রাখব দলের সবার থেকে আমি কী পরিমান সম্মান পেয়েছি। পেয়েছি ভালোবাসা। আর এই ভালোবাসাই হল সবথেকে বড় দায়িত্ব। আমি সেই দায়িত্ব কাঁধে করে নিয়ে এতদিন বেরিয়েছি। আজ আমি মনে করছি সেই দায়িত্ব যার কাছে যাচ্ছে তিনি যোগ্য মানুষ। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই খুবই নিশ্চিন্ত। দলের দায়িত্ব সঠিক হাতে যাচ্ছে।"

সেই খাড়গে
আজ যার দায়িত্ব গিয়েছিল তিনি সেই খারগের সঙ্গে ১৯৭০ দশকের শেষ দিকে কর্নাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবরাজ উরসের সঙ্গে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়। খারগের রাজনৈতিক গুরু ছিলেন উরস। তিনি সঞ্জয় গান্ধীর রাজনীতিতে ফিসে আসার বিপক্ষে ছিলেন। উরস রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকার পাশাপাশি রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন।

পদ ত্যাগ
কোনো একটি পদ তিনি ত্যাগ করতে ইচ্ছুক ছিলেন না। সেই সময় কর্নাটকের বেশিরভাগ কংগ্রেস বিধায়ক উরসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। যা ইন্দিরা গান্ধীকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। অন্যদিকে ইন্দিরা গান্ধী সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন যে উরস জনতা পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সেই পরিস্থিতিতে ইন্দিরা গান্ধী উরসকে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির পদ থকে সরিয়ে দেন।
১৯৭৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে উরসের তৈরি কংগ্রেস ইউ-তে যোগ দিয়েছিলেন মল্লিকার্জুন খারগে। যদিও ১৯৮০-র লোকসভা নির্বাচনের পরে খারগে কংগ্রেসে ফিরে আসেন। কেননা উরস কর্নাটকে একটি আসন জিততে পারেননি।
সেই সময় থেকে কংগ্রেসের প্রতি তীব্র আনুগত্য দেখিয়ে এসেছেন মল্লিকার্জুন খারগে। আনুগত্য হিসেবে খারগে নিজের ২ ছেলের নাম রেখেছিলেন রাহুল ও প্রিয়ঙ্ক। অন্যদিকে নিজের মেয়ের নাম রেখেছিলেন প্রিয়দর্শিনী। কোনও কোনও প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, ৫ বছর বয়সে খারগে বাবার সঙ্গে বিদার থেকে গুলবর্গায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় রাজাকাররা খারগের মা ও বোনকে হত্যা করেছিল।