কিছুদিন দিল্লির বাইরে থাকুন, সোনিয়া গান্ধীকে পরামর্শ চিকিৎসকদের
সোনিয়া গান্ধীকে পরামর্শ চিকিৎসকের
দিল্লির বাতাসে যে পরিমাণ দূষণ রয়েছে এবং বাতাসের মান অত্যন্ত বাজে হওয়ার জন্য কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে রাজধানী শহর থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা। ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে সোনিয়ার, তাই এরকম পরিস্থিতিতে দিল্লিতে থাকা তাঁর জন্য ঝুঁকির।
গোয়া বা চেন্নাই যেতে পারেন সোনিয়া
কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতৃত্ব এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে চিকিৎসকরা সোনিয়া গান্ধীকে পরামর্শ দিয়েছেন যে কিছুদিনের জন্য তিনি যেন উষ্ণ জায়গায় চলে যান এবং দিল্লির বায়ুর মান যতদিন না ঠিক হচ্ছে ততদিন যেন সেখানেই তিনি থাকেন। ওই নেতা বলেছেন, ‘দু'টি জায়গা বাছাই করা হয়েছে, তা হল চেন্নাই ও গোয়ার প্রত্যন্ত জায়গা এই উদ্দেশ্যের জন্য একেবারে সঠিক।' ৭৩ বছরের সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে যেতে পারেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বা কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবার যাওয়ার কথা থাকলেও এখনও নিশ্চিত করে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
দিল্লির দূষণ সোনিয়া গান্ধীর জন্য ঝুঁকির কারণ
এ বিষয়ে অবগত কংগ্রেসের ওই নেতা বলেন, ‘গত একমাস যাবৎ সোনিয়া গান্ধীর ফুসফুসে ক্রনিক সংক্রমণ দেখা দিয়েছে এবং দিল্লির এ ধরনের খারাপ বাতাসের কারণে তা কোনওভাবেই ঠিক হচ্ছে না। রাজধানীর এই ভারী দূষণ সোনিয়া জির হাঁপানি ও তাঁর ফুসফুসের পরিস্থিতিকে আরও মারাত্মক করে তুলবে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো দিল্লির বায়ুর মান ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে রাজধানীর বাইরে থাকতে হবে।'
প্রায়শই বিদেশে যেতে হয় চেকআপের জন্য
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই দলের রাজ্য সভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁকে স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অগাস্টেই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। এছাড়াও তাঁর চিকিৎসার জন্য তাঁকে মাঝে মধ্যেই বিদেশে যেতে হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর সোনিয়া গান্ধীকে নিয়ে রাহুল গান্ধী রুটিন চেকআপের জন্য কিছুদিনের জন্য আমেরিকা গিয়েছিলেন। যে কারণে তাঁরা ১৪-২৩ সেপ্টেম্বর হওয়া সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি।
বিহার নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে ঝামেলা
এমন একটা সময়ে সোনিয়া দিল্লির বাইরে যাচ্ছেন, যখন বিহারের নির্বাচনী ফল নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে কাজিয়া বেধেছে। কপিল সিব্বল এবং অধীর চৌধুরীর মতভেদের মধ্যেই দলের আর এক প্রবীণ নেতা পি চিদম্বরমের গলায় অন্য সুর সোনা গেল। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, বিহার এবং বিভিন্ন রাজ্যে উপনির্বাচনের ফলে বোঝা যাচ্ছে ওই সব জায়গায় কংগ্রেসের সংগঠনের কোনও অস্তিত্ব নেই। যা শোনার পর বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে দল।
ওয়েইসি চালে কুপোকাত তৃণমূল, বাংলার ঘাসফুল প্রান্তরে গেরুয়া ঝড় সময়ের অপেক্ষা