মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার বাঁচাতে হস্তক্ষেপ সোনিয়া গান্ধীর
কর্নাটকের পর বিজেপির এবার যে পাখির চোখ মধ্যপ্রদেশ তাতে কোনও সন্দেহ নেই কংগ্রেসের।
কর্নাটকের পর বিজেপির যে এবার পাখির চোখ মধ্যপ্রদেশ, তাতে কোনও সন্দেহ নেই কংগ্রেসের। অভিযোগ, কর্নাটক সরকারের পতনের পর থেকেই মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের ভাঙতে মরিয়া হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। তার উপরে কমলনাথের সঙ্গে সিন্ধিয়ার প্রবল দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ায় সংকট আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় শেষে হস্তক্ষেপ করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। একে অ্যান্টনির নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করে দিয়েছেন তিনি। যাঁরা মধ্য প্রদেশের কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব মেটাতে সবরকম ব্যবস্থা নেবে।
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে দ্বন্দ্ব
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বনাম কমলনাথ। নবীন-প্রবীণের লড়াই এখন তুঙ্গে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে। বিরোধ এতোটাই প্রবল যে কংগ্রেস ছাড়তে পারেন সিন্ধিয়া এমন জল্পনা পর্যন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর এই দ্বন্দ্ব প্রবল আকার নেয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। জয়ের পর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী না করে জ্যোতিরাদিত্যকে মুখ্যমন্ত্রী করায় যে বিরুপ প্রভাব পড়েছে সেটা এতোদিেন প্রকাশ্যে এসেছে।
দ্বন্দ্ব মেটাতে উদ্যোগী সোনিয়া
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে এই দ্বন্দ্ব চিন্তা বাড়িেয়ছে কংগ্রেস শিবিরে। সরকার ফেলার যে চক্রান্ত করছে বিজেপি সেটা আঁচ করতে পেরেছে হাইকমান্ড। সেকারণেই সভানেত্রীর পদের দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যপ্রদেশে দলের বিবাদ েমটাতেই উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। এই নিয়ে কমলনাথের সঙ্গে বৈঠকও সেরেছেন তিনি। কিন্তু তিনি বারবারই সিন্ধিয়ার সঙ্গে কোনওরকম বিবাদের ঘটনা উড়িয়ে দিয়েছেন। ১০ দিনের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস প্রধান দীপক বারবারিয়ার কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।
বিবাদ মেটাতে একে অ্যান্টনির নেতৃত্বে কমিটি গঠন
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের বিবাদ মেটাতে শেষে একে অ্যান্টনির নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। রাজ্যের কংগ্রেস নেতাকর্মীদের যাবতীয় অভিযোগ তাঁকে জানাতে বলা হয়েছে। তারপরেই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। জ্যোতিরাদিত্যর অনুগামীরা তাঁকে মধ্য প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান নিযুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। কর্নাটকের ধাঁচেই মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারকে ভাঙার পরিকল্পনায় রয়েছে বিজেপি।