রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের ভোটে ইউপিএ-র হারে মুখ খুললেন সনিয়া
এনডিএ রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে জিতিয়ে আনল সাংসদ-সাংবাদিক হরিবংশ নারায়ণ সিংকে। এই ফলাফলের পর মুখ খুলেছেন কংগ্রেস চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী।
ইউপিএ-কে হারিয়ে এনডিএ রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে জিতিয়ে আনল সাংসদ-সাংবাদিক হরিবংশ নারায়ণ সিংকে। ইউপিএ প্রার্থী বিকে হরিপ্রসাদকে ২০ ভোটে হারিয়ে তিনি জয় পেয়েছেন। হরিবংশ পেয়েছেন ১২৫টি ভোট ও হরিপ্রসাদ পেয়েছেন ১০৫টি ভোট। এই ফলাফলের পর মুখ খুলেছেন কংগ্রেস চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী।
সনিয়া বলেছেন, কখনও আমরা জিতব, কখনও হারব। এর বেশি আর কিছু বলেননি তিনি। এদিন আম আদমি পার্টি ভোটদানে বিরত থেকেছে। যদি তাদের ভোট কংগ্রেসের ঘরে ঢুকত তাহলে আর একটু লড়াই জমত। বিরোধী ঐক্য মজবুত না করার জন্য কংগ্রেসের সমালোচনা করেছে আপ।
এদিন রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ সবার প্রথমে উঠে হরিবংশ নারায়ণ সিংকে অভিনন্দন জানান। স্পিকার বেঙ্কাইয়া নাইড়ু ভোট প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার পরে প্রথা অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতা আজাদকে বক্তব্য রাখতে আহ্বান জানান। আজাদ বলেন, আমি নব নির্বাচিত মাননীয় ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। সংসদে আসতে গেলে কোনও একটি দল বা দলের সমষ্টির তরফে প্রবেশ করতে হয়। সেটাই নিয়ম। তবে একবার সংসদে প্রবেশ করে ফেললে সেই ব্যক্তি সকলের কাছে সমান হয়ে যান। সকলকে সমান চোখে দেখেন। আমি হরিবংশজীর কাছে আবেদন জানানো যাতে তিনিও সেই পথ অনুসরণ করে সকলকে সমান চোখে দেখেন। কারণ তিনি এখন সকলের ডেপুটি চেয়ারম্যান।
পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ভূয়সী প্রশংসা করেন হরিবংশ নারায়ণের। তিনি বলেন, আমি হরিবংশ নারায়ণজীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তিনি সমাজের একেবারে নিচের স্তরের মানুষের হয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের কথা বলেছেন। তাঁদের জন্য জীবন সমর্পিত করেছেন। ব্যাঙ্কের উচ্চ বেতনের চাকরি ছেড়ে সমাজসেবকের মতো জীবন অতিবাহিত করেছেন। সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজকে বদলে দিতে চেয়েছেন। আশা করছি তিনি সাংসদ হিসাবেও নিজের পদের গরিমা বজায় রেখে কাজ করে দেশ ও নিজের মান উজ্জ্বল করবেন।
এদিন বিরোধী শিবিরের সমর্থনে তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, বাম দল, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, এনসিপি-র মতো দল ছিল। জিততে হলে ১১৯টি ভোট পেতে হতো।