হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সনিয়া গান্ধী
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। পাকস্থলিতে সংক্রমণের জেরে দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভার্তি করা হয়েছিল তাঁকে। আজ শরীরের অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে ৭৩ বছরের এই রাজনীতিবিদ শারীরিক অসুস্থতার কারণে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করলেও দলের চাপেই তা পারেননি। ফের তাঁকে কংগ্রেস অন্তর্বর্তী সভাপতির পদ গ্রহণ করতে হয়েছে।
কদিন ধরেই তাঁর শরীর ভাল যাচ্ছিল না। তাঁর জ্বর রয়েছে। সেইসঙ্গে পেটের সমস্যাও রয়েছে। এই অবস্থায় রবিবার আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁর পরিবার। তাঁর শরীর যে খারাপ ছিল তা গত শনিবার থেকেই স্পষ্ট। কারণ ওইদিন বাজেট পেশ থাকা সত্ত্বেও তিনি সংসদে হাজির ছিলেন না।
হাসপাতালের তরফে অবশ্য বলা হয়েছিল যে সনিয়া গান্ধীকে রুটিন চেকআপের জন্যই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে। তবে সূত্রের খবর পাকস্থলিতে সংক্রমণের জেরেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবশ্য গান্ধঈ পরিবার বা কংগ্রেসের তরফে কোনও রকম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে সনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার খবর পেয়ে কংগ্রেস নেতারা বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে তাঁর শরীরের অবস্থা জানার চেষ্টা করেন।
সাধারণত শরীরের চেকাআপ করাতে কয়েক দিন পরপরই আমেরিকা যান সনিয়ে গান্ধী। এর জেরে গত কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতে তাঁর সক্রিয়তাও আগের থেকে কমেছে। স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগছিলেন বলেই পিছু হটতে চেয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। নির্বাচনী সমাবেশে কম দেখা যায় তাঁকে। তবে লোকসভা নির্বাচনে লজ্জাজনক হারের পর রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতির পদ ত্যাগ করেন। সেই সময় ফের দলের লাগাম ধরেন তিনি।