পাঁচ রাজ্যের ভোটে ভরাডুবি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের বরখাস্ত করলেন সোনিয়া গান্ধী
পাঁচ রাজ্যের ভোটে ভরাডুবি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের বরখাস্ত করলেন সোনিয়া গান্ধী
পাঁচ রাজ্যের ভোটে ভরাডুবি হওয়ার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের ইস্তফার নির্দেশ দিলেন সোনিয়া গান্ধী। মঙ্গলবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বড় ঘোষণা করে জানান, পাঁচটি রাজ্যেই গোহারা হেরেছে কংগ্রেস। তাই পাঁচ রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতিকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। এর ফলে নভজ্যোৎ সিং সিধু-সহ পাঁচ প্রদেশ সভাপতিই পদ হারালেন।
পাঁচ রাজ্যের ভোটে শোচনীয় হার হয়েছে কংগ্রেসের। চার রাজ্যে বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে। আর পাঞ্জাবে হার মানতে হয়েছে আম আদমি পার্টির কাছে। তার ফলে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। আর মাত্র দুটি রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে। রাজস্থান ও ছত্তিশগড়।
তার আগে পাঁচ রাজ্যের ভোটে হারের পর্যালোচনা করে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল কংগ্রেস। যখন দেওয়ালে একেবারে পিঠ ঠেকে গিয়েছে কংগ্রেসের, তখন ব্যাধির ওযুধ নিয়ে হাজির হলেন সোনিয়া গান্ধী। পাঁচ রাজ্যের সভাপতিকেই সরিয়ে দিয়ে তিনি নতুন করে চলার পথ প্রশস্ত করলেন। এর মধ্যে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধুও।
রবিবার হারের কারণ খতিয়ে দেখতে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকে কংগ্রেস। সেই বৈঠকে চার ঘণ্টা ধরে নানা কাটাছেঁড়া চলে। সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী-সহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে ফের রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস সভাপতি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। শেষমেশ অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী হিসেবে সোনিয়া গান্ধী পাঁচ রাজ্য সভাপতিতে বরখাস্ত করেন। এখন দেখার পাঁচ রাজ্যের সভাপতি হিসেবে কাদের নাম উঠে আসে।
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়েছে রবিবার। তার আগে শনিবারই রটনা তৈরি হয়েছিল সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পদত্যাগ করতে পারেন ওয়ার্কিং কমিটি থেকে। কিন্তু এদিন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শুরুর আগে কংগ্রেসের সদস্যরা যখন একে একে উপস্থিত হচ্ছেন, তখনই সোনিয়া-রাহুলের সমর্থনে স্লোগান ওঠে বাইরে। কংগ্রেসের যুব নেতা-কর্মীরা জমায়েত হয়ে সোনিয়ার বাসভবনের বাইরে স্লোগান তোলেন সোনিয়া-রাহুলের সমর্থনে।
আর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক চলাকালীন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোর গেহলট দাবি তোলেন, রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের সভাপতি করা হোক। তিনিই একমাত্র পারেন কংগ্রেসকে ফের সজীব করে তুলতে। এই দাবির বিরুদ্ধেচারণ কেউ না করলেও রাহুল গান্ধী কি রাজি হবেন? তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। কারণ তিনি এখনও অনড় থেকেছেন। তা গতবারের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। এবারও তিনি নির্লিপ্ত থাকেন। আর কংগ্রেস সভানেত্রীর ব্যাটন তুলে ধরে সোনিয়া গান্ধী জানিয়ে দেন তাঁর সিদ্ধান্ত।